মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা হবে না,মূল্যায়ন হবে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে
তিনি বলেন, মূল্যায়নে কোন চাপ সৃষ্টি করা হবে না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে এনসিটিবি ৩০ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করেছে। এগুলো পরবর্তী ক্লাসের জন্য কাজ করবে। সব প্রধান শিক্ষকের নিকট এটি পাঠানো হবে।
এ সংক্রান্ত অ্যাসাইনমেন্ট পৌঁছে দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করবে। এগুলো অনলাইনেও নেয়া যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, এ সময়ে অন্য কোন কার্যক্রম চলবে না। শিক্ষার্থীদের যেখানে দুর্বলতা থাকবে, সেগুলো পরবর্তী ক্লাসে পূরণ করা হবে। এটি ক্লাস মূল্যায়নে কোন প্রভাব ফেলবে না।
ভার্চুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক চৌধুরী এবং শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। যদিও এ মুহূর্তে অনলাইন ও টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), ইবতেদায়ি সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
টানা ৭ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।