ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় স্পষ্ট মনে হয়েছে- এএসপি আনিসুলের মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড
আগমনী ডেস্কঃ চিকিৎসা নিতে এসে মাইন্ড এইড হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিমের মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে পুলিশ প্রশাসন।মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও জোনের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় স্পষ্ট মনে হয়েছে- এএসপি আনিসুলের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। কারণ যে ১০-১২ জন লোক তাকে পিঠ বেঁধে, মুড়ে, আছড়ে নিয়ে গেছে, তারা কেউ ডাক্তার না।
তিনি বলেন, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল থেকে হঠাৎ করে রোগীটা কীভাবে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চলে গেল? এই দুই হাসপাতালের সঙ্গে কোনো দালাল জড়িত আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।ডিসি হারুন বলেন, সেখানে গিয়ে রোগীটা প্রথমে ভালো ছিলেন। হঠাৎ করে দেখলেন যে, সে নিস্তেজ হয়ে গেছে। কিন্তু যখন আমরা ভিডিও ফুটেজ লক্ষ করলাম, সেখানে দেখলাম… আট থেকে ৯ জন লোক তাকে পিঠ মোড়াচ্ছে, তাকে মাথায় আঘাত করছে; তাকে বেঁধে ফেলছে এবং তাকে বিভিন্নভাবে জোর করে নিয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে এএসপির মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।উল্লেখ্য ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে মৃত্যু হয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিমের।
হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট কক্ষের ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, হাসপাতালে ৬-৭ কর্মী টেনেহিঁচড়ে ওই কক্ষের মধ্যে নিয়ে আসে আনিসুলকে। সেখানে তাকে কয়েকজন চেপে ধরে রাখতে দেখা যায়। একই সঙ্গে কয়েকজনকে তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।দীর্ঘক্ষণ নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকলেও আনিসুলের চিকিৎসার ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে তাকে শ্যামলী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।