জুয়া খেলার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত

জানুয়ারি ০৮ ২০২১, ২১:৪৪

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃকমিউনিটি সেন্টারে বসে জুয়া খেলার অভিযোগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, বুধবার রাতে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দেন তিনি।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এসআই, কনস্টেবল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন।

মি. সিদ্দিক জানিয়েছেন, তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে ‘ইনকোয়ারি (তদন্ত)’ হচ্ছে।

‘পুলিশে শুদ্ধি-অভিযান চলমান প্রক্রিয়া’

শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাদের নিজেদের নিয়মনীতি অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়।

সেটা অনেক সময় সংবাদমাধ্যমে খবর হয় না। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনা সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।

যেমন মাদক গ্রহণের অভিযোগে ২০২০ সালের নভেম্বরে কুষ্টিয়ায় আটজন পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার খবর প্রকাশ করা হয়।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত বিবিসিকে বলেছেন, দেড় বছর আগে জেলার ১২জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভিযোগ ওঠে।

এরপর তাদের ডোপ টেস্ট করানো হয়, এবং তাতে অভিযোগ প্রমাণের পর আটজন পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করার তথ্য জানানো হয়।

রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলছিলেন, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে শুদ্ধি-অভিযান একটা চলমান প্রক্রিয়া।

তিনি বলছিলেন, “পুলিশরা মাদক সেবন করবে, জুয়া খেলবে – সেটা তো হতে পারে না। তাই ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।”

“কিছু পুলিশ সদস্যের জন্য সবার নাম খারাপ হতে পারে না,” বলছিলেন পুলিশ কমিশনার।

পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট

সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের মধ্যে মাদক গ্রহণ সমস্যা এমন আকার ধারণ করেছে যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শক মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কয়েকবার।

মাদকের এই সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যেই পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করানো হচ্ছে।

পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়, বা যাদের সন্দেহ হয়, তাদের ডোপ টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করা হয় দুই পর্যায়ে।

প্রথম পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতালে টেস্ট করানো হয়। যেসব জেলায় পুলিশ হাসপাতাল নেই সেখানকার পুলিশ সদস্যদের নিকটবর্তী জেলা যেখানে পুলিশ হাসপাতাল আছে সেখানে রক্ত ও প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়।

এরপর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ডোপ-টেস্ট করানো হয়।

এই দুই পরীক্ষায় পজিটিভ হলেই একজন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তবে চাকরিরত অবস্থায় এবং উপরের পদগুলোতে কাজ করেন এমন পুলিশ সদস্যদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ডোপ-টেস্টের ব্যবস্থা নেই।

এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক কারবারিদের সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।খবর -বিবিসি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও