নওগাঁয় বিধবাকে ধর্ষণ ও ধামাচাপার অভিযোগে ইমামসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা

জানুয়ারি ১৩ ২০২১, ০৯:৪৭

Spread the love

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর রাণীনগরে বিধবাকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম, স্থানীয় মাতাব্বরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানাপুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতাব্বররা সালিশ বসিয়ে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল ওই ইমামের।

জানা গেছে, উপজেলার গহেলাপুর বড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাদ আলীর ছেলে জাকিরুল ইসলাম জাকির একই উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করছেন। এ সময়ের মধ্যে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনৈক বিধাবার সাথে পরিচয় ঘটে জাকিরের। এরপর প্রায় ২বছর আগে বিধবাকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে বিধবা প্রস্তাব প্রত্যাখান করে।

এরপর সম্প্রতি রাতে বিধবার বাড়ীতে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এঘটনার চার দিন পর আবারো ওই বিধবার ঘরে ঢুকলে বিধবা জাকিরুলকে বিয়ের চাপ দেয়। এ সময় বিয়ে করবেনা জানিয়ে বিধবাকে মারপিট করে চলে যায় জাকির।

উপজেলার বড়গাছা বাজারে মাতাব্বর জামালসহ কয়েক জনকে জানালে চলতি মাসে রাতে ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে বিধবাকে ডেকে বড়গাছা বাজারে সালিশ বসিয়ে ইমাম জাকিরুলের ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এরপর বিধবাকে কোন টাকা না দিয়ে ঘটনা কাউকে না বলতে চাপ দেয় মাতাব্বররা।

এ ঘটনায় ওই বিধবা বাদী হয়ে রোববার রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ এনে ইমাম জাকিরুল, মাতাব্বর জামালসহ ৩জনকে এজাহার নামীয় এবং আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার প্রেক্ষিতে রাতেই থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে শুখান দিঘী গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে মাতাব্বর জামাল হোসেন ও বড়গাছা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে অফির উদ্দীনকে গ্রেফতার করেছে।

রাণীনগর থানার ওসি মো: শাহিন আকন্দ বলেন, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বিধবা। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও