আগমনী ডেস্কঃ নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব পদ বাঁচাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। টেলিফোনে তিনি আমাকে বলেন, ‘তুই আমার পদ খাইবি?’। আমার প্রয়োজন নেই কোনো নেতার। দল থেকে বহিষ্কার করবেন, করে দেন।

বুধবার (২৭জানুয়ারি) রাত ৯টায় সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বকৃক্তাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম দিয়ে যারা আসে নাই। তারা অপরাজনীতির কাছে আজকে মাথা নত করেছে, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি, ঘৃণা করি যারা অপরাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলবো, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবো। আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করলেও, আমি যতোদিন বেঁচে থাকি আমি আপনাদের পাশে থাকবো। মিছিলে আপনাদের সাথে স্লোগান দেবো। বঙ্গবন্ধুর কথা বলবো, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলবো, স্বাধীনতার কথা বলবো, মানুষের স্বার্থের কথা বলবো, অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো।

মেয়র বলেন, আজকে আমার দাবি। মাননীয় মন্ত্রী আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন। কোথায় সে চাকরি। এলাকার সন্তানেরা আজকে চাকরি না পেয়ে আজকে তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে। আজকে বলবো, ঘরে ঘরে না হোক অনতিবিলম্বে কোম্পানীগঞ্জে ৫০০ কবিরহাটে ৫০০ ছেলে-মেয়ের চাকরি যদি না হয়, কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবো। তারপর বলেছেন গ্যাস দিবেন। প্রতিশ্রুতির পরেও ৩ মাসের মধ্যে গ্যাস দেওয়া না হলে। কোম্পানীগঞ্জের গ্যাস আর জাতীয় গ্রিডে যাবে না। কার ষড়যন্ত্রে গ্যাস আসে নাই আপনারা জানেন।

তিনি বলেন, দেখুন আমরা কতো অসহায়। মন্ত্রীর কাছে বললে অসুস্থ। অসুস্থ হলে অপরাজনীতির কাছে কিভাবে আত্মসমর্পণ করলো। আজকে আবার পূর্ণবাসন করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ৩ মাস ভোট করেছি, কষ্ট আমরা করেছি, আপনি বক্তব্য দিয়েছেন। মানুষ এখন পিঁপড়ার মতো চাকরির জন্য গ্যাসের জন্য আমাদের কাছে আসে। আপনার কাছে করে না। আপনার কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমূখ।