নরসিংদী জেলায় অবস্হিত ঐতিহাসিক ‘লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি
আনোয়ার হোসেন রনিঃ বাংলাদেশ এর নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ডাংগা নামক এলাকায় অবস্হিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। যা স্হানীয়দের কাছে উকিল বাড়ি নামে বেশ পরিচিত।
ইতিহাস : জমিদার লক্ষণ সাহা এই জমিদার বংশের মূল গোড়াপত্তন কারী। তবে কবে নাগাদ বংশে এবং জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্টিত হয়েছে তাঁর সঠিক তথ্য জানা যায় নি। এই জমিদার বংশধররা অন্য জমিদারের আওতাভুক্ত ছোট জমিদার ছিলেন। তবে তারা যখন জমিদারের আওতাভুক্ত ছিলেন তারা কখনো বিট্রিশ সরকারকে খাজনা দিতে হয়নি। কারণ এই জমিদারী এলাকাটি ভারত উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র এলাকা ওয়াকর্ফ হিসেবে ছিল। লক্ষণ সাহার তিন পুত্র সন্তান ছিল। এদের মধ্যে ছোট ছেলে ভারত ভাগের সময় চলে যায়। এরপর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অল্প কিছুদিন আগে বড় ছেলে ও ভারতে চলে যান। থেকে যান মেঝো ছেলে। তার ছিল একমাত্র পুত্র সন্তান। যার নাম ছিলো বদ্ধ নারায়ণ সাহা। এই বৌদ্ধ নারায়ণ সাহাই আহম্মদ আলী উকিলের কাছে উক্ত বাড়িটি বিক্রি করে দেন।তাই আহম্মদ আলী পেশায় একজন উকিল হওয়াতে বর্তমানে অনেকে উকিল বাড়ি নামে চিনে।
অবকাঠামো : লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়িটি দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবন। ভবনের মেছোতে কষ্টি পাথর দিয়ে ঢালাই করা। ছোট্র একটি কারুকার্য খচিত দালান, বাগানবাড়ি, সাঁন বাধানো পুকুর ঘাট, পুজো করার জন্য পুকুরের চারপাশে তিনটি মন্দির ছিল।
বর্তমান অবস্হা : জমিদার বাড়ি সবগুলো স্হাপন মোটামুটি বেশ ভালো অবস্হাই আছে। শুধু পুকুরের চারপাশের মঠ বা মন্দির গুলোর ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে একটি এখনো পুকুর ঘাটের কাছে আছে। এখনো মোটামুটি টিকে আছে।