কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন আহত

মার্চ ০২ ২০২১, ১১:০৩

Spread the love

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন— ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হাওলাদার ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম সেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হাওলাদারসহ কয়েকজন উপাচার্য বাসভবনের সামনে গেলে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভিসহ ১০-১২ জন নেতা-কর্মী হামলা করে।

এ সময় সোহেলের বাম চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সোহেলের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফসহ কয়েকজনের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দত্ত হলের প্রীতম সেনেরও বাম চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহত সোহেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে দত্ত হলের ১২ তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা আমার উপর হামলা করে। হোটেল থেকে খাবার খেয়ে হলে ফেরার সময় তারা পেছন থেকে ১৫-২০ জন এসে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।

আরেক আহত প্রীতম সেন বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম, এ সময় দেখি কয়েকজন বাগ্‌বিতণ্ডা করছে। কৌতূহলবশত আমি দেখতে গেলে ওয়াসিভাই ও তার বন্ধুরা আমি কিছু বুঝে না ওঠার আগে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মী সালমান বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি মারামারি দেখে ওখানে গিয়েছি। যারা আমাকে জড়িয়েছে তারা ননসেন্স। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

তবে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ বলেন, আমরা সোহেলসহ হলের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় কয়েকজন সোহেলের উপর হামলা চালায়। সোহেলকে বাঁচানোর সময় আমরা তাদের প্রতিহত করি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, তারপরেও যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা সাংগঠনিকভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামীকালের মধ্যেই আমরা এর সুরাহা করব।

প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আগামীকাল ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও