তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

মার্চ ২৫ ২০২১, ১৭:৩১

Spread the love

মো: রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতির ফলে গোটা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি কি: তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকরণ, ব্যবস্হাপনা এবং বিতরণের জন্য ব্যবহৃত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির সমন্বয়কে তথ্যৃদ প্রযুক্তি বলা হয়।

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার : তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যে জীবনযাত্রার মান বদলে দিতে পারে তা বিশ্বাস করতে এখন আর কেউ ভুল করছেনা। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশে এখন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার,ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্টানের সংখ্যা ৯-১০ হাজারের মতো।

তথ্য প্রযুক্তির প্রসার সরকারের পদক্ষেপ : বর্তমান সরকারে ( শেখ হাসিনা সরকার) অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তথ্য প্রযুক্তির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিকাশের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন। এ লক্ষে বর্তমান সরকার শাসনামালে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে সহায়ক কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।যেমন:
১। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রায় সারা দেশ টেলিফোনের আওতা চলে আসছে। ইতোমধ্যে প্রতি জেলায় ইন্টারনেট পৌছে গেছে। শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ে পৌছে যাবে
২। তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের লক্ষ্যে সরকার ‘ জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এই নীতি মালার সুন্ঠ বাস্তবায়নে প্রয়াসে সরকার ঢাকার প্রানকেন্দ্র কারওয়ান বাজারে ৭০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্লোরে অত্যাধিক সুযোগ সুবিদা সম্মিলিত একটি আইসিটি ইনকিউবেটর স্হাপন করেছে।
৩। বিদেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তি পন্য বাজারজাতকরণে লক্ষ্যে আইসিটি বিসনেস প্রমোশন সেন্টার স্হাপন করা হয়েছে।
৪। তথ্য প্রযুক্তি প্রসারের লক্ষ্যে ঢাকার অদূরে কালিয়া কৈরে ২৬৫ একর জমিতে হাই টেক পার্ক স্হাপন করা হচ্ছে।সম্প্রতি রেলওয়ের ফাইবার অপটিক লাইন সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
৫। দেশের সকল অঞ্চলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসার এবং এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা কোর্স প্রবর্তন এবং কম্পিউটার প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য চালু করা হয়েছে।আইসিটি ইন্টার্নশীপ কর্মসূচি। এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্হার উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সম্ভাবনার সফটওয়্যার শিল্প: বাংলাদেশে বর্তমানে সফটওয়্যার শিল্প সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে দেখা দিয়েছে। হার্ডওয়্যার নির্মাণের সঙ্গে এখনো বাংলাদেশ তেমনভাবে জড়িত হয়নি। এদেশে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট তিনটি ক্যাটাগরিতে হচ্ছে।এগুলো হলো কাস্টমাইড সফটওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ও ওয়েব সফটওয়্যার। বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রূপ্তানি হচ্ছে।অস্ট্টেলিয়া,বেলজিয়াম,ভুটান, কানাডা, সাইপ্রাস,দুবাই, জামার্নি, ভারত, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশি সফটওয়্যার রূপ্তানি হচ্ছে।

কর্মসংস্হান সৃষ্টিতে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প : বাংলাদেশ বর্তমানে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার, ইন্টারনেট ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ৯-১০ হাজার প্রতিষ্টান গড়ে উঠেছে। এ সকল প্রতিষ্টানে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্হান হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও