কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাংবাদিক সম্মেলন  

এপ্রিল ১১ ২০২১, ০৯:৫১

Spread the love

এম জয় ই জসীম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) “কুলিয়ারচরে মাদ্রাসার ছাত্র বলৎকারের অভিযোগে এক হেফাজত নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা” শিরোনামে স্থানীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন আনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত জামিয়া আরাবিয়া নূরুল উলূম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার শিক্ষক ও হিসাব রক্ষক জহির বিন রহুলের নাম জড়িয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াসির মিয়ার প্রকাশিত বক্তব্যের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১ টার দিকে জামিয়া আরাবিয়া নূরুল উলুম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জহির বিন রহুল বলেন, “গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে বাজরায় একটি গানের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আলেম-ওলামাদের সাথে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াসির মিয়ার একটি দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

পরিশেষে আলেম উলামাগনের নিকট ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়। সেই প্রতিহিংসার জেরেই আমাকে জড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছে বলে আমি মনে করছি। মূলত ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমি আমার কর্মস্থল মাদ্রাসায় ছিলাম এবং পরবর্তীতে ইউএনও অফিসে হামলার সময় হামলা রুখতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাথেই ছিলাম। যার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী পুলিশ সহ ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ এবং বাজারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে ধারণ করা আছে।

উক্ত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে বলৎকারে অভিযুক্ত ইয়াকুব আলী হুজুরের সাথে আমি মিছিলের ১ ঘন্টা পূর্বে বড়খারচর মাদ্রাসায় মিটিং করে মিছিল বের করিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মুলত আমি ঐদিন বড়খারচর গ্রামেই যায়নি। যা আমি চ্যালেঞ্জ করেই বলছি, যদি এমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারে তবে আমার বিরুদ্ধে যে-কোনো ব্যবস্থা গ্রহনে আমি মাথা পেতে নিবো। আমার জানামতে বড়খারচর মাদ্রাসার প্রতিটি প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে, আমি যদি গিয়ে থাকি তবে সেখানে তার রেকর্ড থাকবে। শান্তি প্রিয় কুলিয়ারচরকে অশান্ত ও অরাজকতা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যেই তার ওইসব বক্তব্য বলে আমি মনে করি।

তার বক্তব্যে তিনি আমাকে হেফাজত ও শিবির বলেও উল্লেখ করেছে। যা নিতান্তই হাস্যকর, কারণ একজন লোক কখনোই হেফাজত আবার শিবিরের লোক হতে পারে না। কারণ হেফাজত ও শিবির সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন ও বিপরীতমূখী সংঘটন। আমার জানামতে কুলিয়ারচর উপজেলায় হেফাজত এবং শিবিরের কোনো কমিটি নেই।

পরিশেষে বলতে চাই, আমাকে জড়িয়ে চেয়ারম্যান মিথ্যা তথ্য দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে আমার ব্যাপক মানহানি হয়েছে। এই ঘটনায় আমি আপনাদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াসির মিয়াকে ৭ দিনের সময় দিচ্ছি, ৭ দিনের মধ্যে উনি উনার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিবেন আশা করি । যদি আমি যথা সময়ে উত্তর না পাই, তবে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো”।

উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া আরাবিয়া নূরুল উলুম কুলিয়ারচর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও