অতিরিক্ত সচিবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দানে কুবি শিক্ষক সমিতির নিন্দা

মে ০৯ ২০২১, ২০:১০

Spread the love

কুবি প্রতিনিধিঃ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় অনভিজ্ঞ ব্যক্তির নিয়োগের মাধ্যমে আমলাতান্ত্রিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।

আজ শনিবার (৮ মে) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ শামিমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর স্বায়ত্তশাসন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি রাজনৈতিক ও আদর্শিক সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষা ও গবেষণাধর্মী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টি মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ জাতি গঠনে ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সােনার বাংলা বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষকগণ অগ্রণী ভুমিকা পালন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ বা অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদসমূহ শিক্ষকতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের দ্বারা পরিচালিত না হওয়া মানে উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া। তাছাড়া স্বায়ত্তশাসনের মূলমন্ত্র অনুযায়ী উক্ত পদগুলােতে শিক্ষকদের আসীন করাই প্রত্যাশিত ও স্বাভাবিক। আমরা মনে করি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়ােগ মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের উপর আমলাতান্ত্রিক নগ্ন হস্তক্ষেপ ও উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের নীলনকশা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, একজন পি আর এল ভোগরত অতিরিক্ত সচিব কে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিরল দৃষ্টান্ত। যা গোটা শিক্ষক সমাজকে মর্মাহত করেছে এবং শিক্ষকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করেছে, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সামগ্রিক পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

এছাড়াও বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে শিক্ষা ও গবেষণার যে উন্নতি সাধিত হয়েছে তা এখনো চলমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি বিভিন্ন সময় এসব বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের দূরত্ব তৈরী করার লক্ষ্যে এসব সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা প্রণয়ন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় উপাচার্য এর রুটিন দায়িত্ব পালনে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ।

এসময় বিবৃতিতে কোষাধ্যক্ষ পদের এ নিয়োগাদেশ বাতিল পূর্বক প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য গবেষণায় এবং শিক্ষকতায় অনভিজ্ঞ ব্যাক্তিদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদায়নে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও