গণমাধ্যমের ভূমিকা হওয়া উচিত সত্য প্রচারে ‘সাংবাদিকতা’,ব্যক্তিস্বার্থে নয়
আহসান উল্লাহ,নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ বিশ্বের চলমান ঘটনার প্রতিচ্ছবি গণমাধ্যম।গণমাধ্যমের পেশাদারিত্বের অপর নাম সাংবাদিকতা।অনিয়ম,দূনীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা বিরুদ্ধে এবং সত্যের পথে কলম যুদ্ধা এই পেশার মানুষ।দেশের আনাচে কাঁনাচে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাক্ষী গনমাধ্যম কর্মী।তাদের প্রধান কাজ অনুপস্থিতিতে ঘটে যাওয়া ঘটনার উপস্থিত জনগন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং সত্যটা প্রচার করা।সমাজিক,অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরে সঠিক সিদ্ধান্তে বিশ্লেষকদের মতামতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ গণমাধ্যম কর্মী।বৈশ্বিক মহামারিতে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে গণসচেতনা সৃষ্টিতে তাদের অবদান অনস্বীকার্য।সত্য প্রকাশে তাদের সাহসিকতা প্রশংসার দাবিদার।অন্যায়,অবিচার,শোষণ ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে তাদের অভিযাত্রা বিশ্বজনীন।
ব্যক্তিস্বার্থে গণমাধ্যম কর্মী সত্য প্রকাশে কতটা নির্ভীক? দূর্নীতি আশ্রয় নিয়ে সত্য গোপনে কতটুকু আপোষহীন? নিজের দোষ ত্রুটি গোপন রাখার জন্য এ পেশায় আসছে কি না? এ রকম অনেক প্রশ্ন থেকে যায় সাধারণ মানুষের কাছে। এমনকি সংবাদকর্মী নিয়োগে যোগ্যতারও প্রশ্ন রয়েছে অনেকেরই। অনলাইনে দেখা যায়,সাংবাদিক নিয়োগ নূন্যতম এইচ,এস,সি পাশ।কিন্তু কিছু কিছু পত্রিকার সংবাদকর্মী অষ্টম শ্রেনি পাশ।তারা আইডি ঝুলিয়ে বিভিন্ন অপরাধকর্ম করে কিছু কুচক্র ব্যক্তির ছত্রছায়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে জনগনকে বিভ্রান্ত করে। এমনকি রাষ্ট্রের সাথে প্রতরাণা করা ব্যক্তিও নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য এ পেশাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।শুধু তাই নয় নিজের স্বার্থে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করে নিরীহ মানুষের সহায়-সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়। টাকার বিনিময়ে পোষ মেনে মিথ্যা প্রচার তাদের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার।
এসব নির্লজ্জ,কুচক্রী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে গণমাধ্যমের জন্য ভয়ঙ্কর পরিবেশ সৃষ্টি এবং গণমাধ্যমের প্রতি জন আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হবে মনে করেন বিশ্লেষকরা,যা সভ্য জাতির জন্য মোটেই কাম্য নয়।
সম্পাদকদের প্রতি আহবান রইলো সৎ,যোগ্য,মেধাবি,সৃজনশীল ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশ ও জাতির প্রকৃত দর্পন হিসেবে গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরা এবং জন আস্থা অর্জনে ভূমিকা পালন করা ।