অনলাইন ক্লাস ও এসাইনমেন্ট পদ্ধতির সমান্বয় শিক্ষার ঘাটতি মোকাবেলা করবে

মে ২৩ ২০২১, ২০:৫১

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মহা দূর্যোগে বিপদগ্রস্ত এই সুন্দর পৃথিবী। কঠিন সংকট মোকাবেলায়হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের নেতৃত্ব স্থানীয় দেশসমূহের গবেষক,ডাক্তার ও বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ। লন্ড ভন্ড হয়ে যাচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার সুন্দর সাজানো স্বপ্ন গুলো।ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মানবতা।মৃত্যুর পথযাত্রায় পাশে নেই একান্ত কাছের মানুষগুলো। এর মধ্যেও আমরা মানবতাকে নতুন রুপে দেখতে পায়।সম্প্রতি ভারতের কেরালায় এক হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এক মুসলিম নারীর মৃত্যুশয্যার পাশে বসে কালেমা শুনালেন রেখা কৃষ্ণ নামে এক হিন্দু ডাক্তার,তাঁহার প্রতি শ্রদ্ধা ও ফিলিস্তানির ওপর ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা।

বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে এক গভীর কালো রাতে আমরা উষার আলোর স্বপ্ন দেখতেছি।এই বৈশ্বিক মহামারিতে ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ অক্রান্ত ও মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পায়নি। এখনো থেমে এই তান্ডব।এই ভয়াল তান্ডবের ঝুঁকির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে গত ১৭ মার্চ ২০২০ ইং থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।চিন্তা ও উদ্বিগ্নে দিন কাটাচ্ছে অভিবাবক,শিক্ষক সমাজ,শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদরা।

বিকল্প উপায়ে শ্রেণির কার্ষক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে অনলাইন ক্লাস যা এই সময়ের জন্য সরকারের এক যুগান্তরকারী সিদ্ধান্ত।আশার আলো ও প্রাণের সঞ্চার হয় শিক্ষক সমাজ, অভিবাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে।সাধুবাদ জানিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে অনলাইন ক্লাস।চমৎকার পাঠদানে মুখরিত প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ও ফেইসবুক পেইজ।গুরুত্ব সহকারে শিক্ষকদের পাঠদানে শিক্ষার ঘাটতি পূরণে সহায়ক বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।চলমান অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সহায়ক বই নিয়ে বসার জন্য বলা হয়েছে। না বুঝার বিষয়টি কমেন্ট বক্সে জানানো অফলাইন ক্লাস থেকে স্বস্তিদায়ক শিক্ষার্থীদের জন্য এবং মনে হবে শিক্ষক সামনে বসে ক্লাস নিচ্ছে।যা এই সংকটপূর্ন সময়ের জন্য খুবই আর্শীবাদ স্বরুপ।

অনলাইন ক্লাসের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ,প্রয়োজনীয় ডিভাইস ক্রয়ের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন অনেকেরই।আবার অনেকই মনে করে যেখানে একজন শিক্ষার্থী মাসে যাতায়াত বাবদ যে টাকা খরচ করে তার সামান্য পরিমান টাকা দিয়ে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করা যায় এবং কম খরচে ডিভাইস পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে এই পদ্ধতি পুরোপুরি সফল।যেহেতু বেশীর ভাগ ক্লাস ফেইস বুক লাইভ বা আপলোড সেহেতু যে সকল এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যা তারা সুবিধামত সময়ে পাশের এলাকায় গিয়ে ক্লাসে যোগদান করতে পারে।তবে এক্ষেত্রে সচেতনতা ও আগ্রহ বিষয়টাকে গুরুত্বারোপ করেছে বিশেষজ্ঞরা।

অনলাইন ক্লাসের পাঠাদানের মূল্যায়ন স্বরুপ এসাইনমেন্ট ব্যবস্থা একটি কার্যকর পদক্ষেপ।যা ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাসে মনোযোগ বৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরবরাহকৃত এসাইনমেন্ট নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্য মেনে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে সংগ্রহপূর্বক প্রশ্ন গুলো উত্তর সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে জমা দানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।মহামারির এ কঠিন সময়ে অনলাইন ক্লাস ও এসাইনমেন্ট পদ্ধতি শিক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়।অবহেলায় সময় নষ্ট করলে প্রিয় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়বে।এ ক্ষতি পোষানোর সময় পাবে না বা এটার দায়ভার কেউ গ্রহণ করবে না।

অভিভাবক সচেতনতা,শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ,অনলাইন ক্লাস ও এসাইনমেন্ট পদ্ধতির সমান্বয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সফল হবে বলে আমি মনে করি।
তবে আশা করি অচিরে আমরা আমাদের চিরচেনা প্রিয় কম্পাসে ফিরে যেতে পারবো।তোমাদের কলকাকলিতে মূখরিত হয়ে উঠবে প্রাণের বিদ্যাপীঠ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও