মুসলিম নারীদের আলোবর্তিকা সাহিত্যে অনুরাগী বেগম রোকেয়া

জুন ১০ ২০২১, ১১:৫৫

Spread the love

মো: রনি আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : বাঙালি মুসলমান সমাজ যখন সামাজিক কুসংস্কার ও ধমীয় প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ ছিল। তৎকালীন নারী সমাজের শিক্ষার আলো নিয়ে এসেছিলেন নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। বেগম রোকেয়া জন্ম ১৮৮০ সালে ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে। তিনি একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক সাহিত্যিক বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং বাঙালি নারীবাদী। বেগম রোকেয়া পিতা আবু আলী হায়দার সাবের আরবি, উর্দূ, ফার্সি, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজী ভায়ায় পারদর্শী হলেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন রক্ষণশীল।বেগম রোকেয়ার বড় ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবুল আসাদ সাবের ও খালিলুর রহমান আবু যায়গাম সাবের ছিলেন বিদ্যানুরাগী।

কলকাতার সেন্ট জোভিয়ার্স কলেজে অধ্যায়ন করে আধুনিকমনস্ক হয়ে ওঠেন। রোকেয়া বড় বোন করিমুন্নেসাও ছিলেন বিদ্যোৎসাহী ও সাহিত্যানুরাগী। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্হায় মেয়েদের গৃহের অর্গলমুক্ত হয়ে প্রাতিষ্টানিক শিক্ষালাভের কোনো সুযোগ ছিল না।৫ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে কলকাতায় বসবাস করার সময় একজন মেম শিক্ষানিয়ত্রীর নিকট তিনি কিছু দিন লেখাপড়ায় সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তুু সমাজ ও আত্নীয় স্বজনদের ভ্রকুটির জন্য তাও বন্ধ করে দিতে হয়। তবু ও বেগম রোকেয়া দমে যাননি।

বড় ভাই বোনদের সমর্থক ও সহায়তায় তিনি বাংলা, ইংরেজী, উর্দু, ফার্সি এবং আরবি আয়ত্ব করেন।
সাহিত্যচর্চার সূচনা: সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর আত্নপ্রকাশ ঘটে ১৯০২ সালে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘নভপ্রভা’ পত্রিকায় ছাপা হয় ‘পিপাসা। বিভিন্ন সময়ে তাঁর রচনা নানা পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। ১৯৫০। সালে প্রথম ইংরেজী রচনা সূলতানাজ ড্রিম ‘মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ছাপা হয়।সবাই তাঁর রচনা পছন্দ করে। তিনি সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিতি হয়ে উঠেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও