রামগড়ে পারিবারিক মারামারি থামাতে গিয়ে পাশের বাড়ির ৩ ভাইসহ মা ও ভাতিজা
রামগড় উপজেলা প্রতিনিধিঃ রামগড় উপজেলার বলিপাড়ায় শুক্রবার দুপুরে প্রতিবেশী জাগির আহমেদ এর পারিবারিক মারামারি থামাতে গিয়ে পাশের বাড়ির ৩ ভাই বাদশা ড্রাইভার, ছোট ভাই সোহেল, বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনসহ ভাতিজা মুরাদ ও তার মা মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। মুরাদ বলিপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের এস এস সি পরীক্ষার্থী।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ২টার দিকে জাগির আহমেদের বাড়িতে চিৎকার শুনে বাদশা ড্রাইভার গিয়ে তাদের মারামারি থামানোর চেষ্টা করলে নাসির ও আফসার তার উপর কিলঘুষি মারে, এর মধ্য নামাজের মুসল্লিরা ঘটনা স্থলে
পৌঁছাতেই এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে দা, চুরি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়, এতে দা এর কোপে দেলোয়ার হোসেন এর মাথা কেটে গিয়ে পরনে থাকা পাঞ্জাবি রক্তাক্ত হয়, সোহেলের বাম হাতে কাঠের গুড়ি দিয়ে বাড়ি মারলে ভেতরের হাঁড় ভেঙে যায় , বাদশা ড্রাইভার কে লাথি কিলঘুষি কাঠের গুড়ি দিয়ে একপক্ষীয় ভাবে আগাত করা হয়। ভাতিজা মুরাদ এবং তার মাকে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত সবাইকে রামগড় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
তাদের মধ্যে দেলোয়ারের মাথায় সেলাই করা হয়েছে, সোহেল রানার হাতের এক্সে করা হয়েছে , হাতের ভেতরের হাড় ভেঙে গিয়েছে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় ফেনী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, এদিকে তাৎক্ষণিক রামগড় থানার পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন, এলাকাবাসী এমন নেক্কারজনক ঘটার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার দাবি জানিয়েছেন।
এ নিষ্ঠুরতার শেষ কোথায়!
নাসির, আফসার, সাগর, আলম, জাগির গংদের বিচার দাবি করেছেন আহতরা ও তাদের স্বজনেরা।।