বিজয়ের মাসে রূপগঞ্জের রাস্তা আর অলি গলিতে পতাকা বিক্রির ধুম

ডিসেম্বর ১৪ ২০২১, ০৯:২৪

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ সবুজের মাঝে লাল, সে তো থাকবেই চিরকাল। স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকা উড়বেই চিরকাল। বিজয়ের মাসে।রাস্তার মোড়ে মোড়ে, চায়ের দোকানে, অফিস আদালতে, বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, মোপরসাইকেলে, এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে চলছে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম। এ পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। আর কোনো জাতীয় দিবস এলেই এ পতাকার কদর অনেক বেড়ে যায়।

পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারাও হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন দেশের জাতীয় পতাকা। নির্ধারিত মাপে কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজ দিয়ে তৈরি পতাকাও বেশ বিক্রি হচ্ছে। কাগজের পতাকা দিয়ে ফুটপাত বা দোকানপাট, বাসা সাজানো হচ্ছে। বৈদ্যুতিক বাতি দিয়েও এখন পতাকা তৈরি করা হচ্ছে।

ছোট্ট শিশু মাইশা ইসলাম পতাকা কিনছেন ভ্রাম্যমান বিক্রেতার কাছ থেকে। পতাকা দিয়ে কি করবে জানতে চাইলে সে বলে, “ঘরে সাজাব। সবার সাথে পতাকা নিয়ে শহীদ মিনারে যাব।”
ডিসেম্বরের শুরু থেকে পতাকা বিক্রির উৎসব শুরু হয়েছে। চলবে বিজয় দিবস পর্যন্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করছেন একশ্রেণীর মৌসুমি বিক্রেতা। এমন একজন মো. তাজুল ইসলাম, বয়স ৪৭। বছরের অন্য সময় অন্য কাজ করলেও এ সময়টা পতাকা বিক্রি করে। কারণ জানাল, ‘এইডা বিজয়ের মাস, হগলে পতাকা কেনে তাই ব্যবসা ভালা হয়। আর পতাকা বেচনের কামডাও সোজা।’

গাউছিয়া মার্কেটের সামনে পতাকা বিক্রি করেন মো. রিয়াজ খান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সব আকারের পতাকা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। ক্রেতারাও আসতে শুরু করেছেন। তবে দিন যত যেতে থাকবে বিক্রি আরও বাড়বে। শুধু পতাকা নয়, লাল-সবুজের মাথার কাগজের ক্যাপ, রাবার, হাতের ব্যাজ, বুকের ব্যাজ বিক্রি করছেন তিনি। এছাড়া আছে কাগজের ছোট পতাকাও। একই স্থানে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পতাকা বিক্রি করে আমি গর্বিত। আমি মনে করি, পতাকার মাধ্যমে আমি দেশের মানুষের কাছে শহীদদের সন্তানকে তুলে দিচ্ছি। তারা সেটিকে অত্যন্ত যতেœর সঙ্গে লালন করছেন।

উপজেলার চনপাড়া এলাকায় পতাকা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকারভেদে ১০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি হয়। এছাড়া কাগজের ছোট পতাকা এক হাজার ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আছে কাগজের বিজয় স্মৃতিসংবলিত ক্যাপ। বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা করে। মাথায় পরার পতাকাসংবলিত রাবার ব্যান্ড বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২৫-৪০ টাকা। আছে হাতের ব্যান্ড, তা পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

একটি বাঁশে বাহারি সাইজের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ ডাক দিয়ে দেখছেন পতাকা। সাইজের সঙ্গে দামে মিললেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্নস্থানে চলছে পতাকা তৈরি ধুম। সেখান থেকে কিনে এনে বিক্রি করেন মৌসুমী বিক্রেতারা।###ু

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও