শুক্রবারে পূর্বাচলের স্থায়ী ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমজমাট

জানুয়ারি ০৭ ২০২২, ২১:৪২

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত ২৬ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ৭ম দিন শুক্রবার দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন আসতে দেখা গেছে মেলায়। সপ্তাহে ছুটির দিন ছাড়া খুব একটা জমেনি মেলা এমন দাবি ব্যবসায়ীদের ।

ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার মেলার ৭ম দিনেও সকাল থেকে রাজধানীসহ আশেপাশে জেলার লোকজন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসছে। গত ৬ দিনের তুলনায় শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গনে ২২৬ টি স্টলের মধ্যে মোটামুটি প্রায় বেশীরভাগ স্টল তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে ব্যবসায়ীরা। যতগুলো বাকি রয়েছে আগামী জ্জ দিনের মধ্যে তৈরী সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। আগের দিনের তুলায় মেলায় বেড়েছে অনেকটা বেচা কেনা। তবে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বে অবহেলার কারনে বাণিজ্য মেলার মূল ভবনের সামনে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের উভয় দিকে দীর্ঘ যানজটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবী করছেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।

এসব বিষয়ে নরসিংদী থেকে আসা দর্শনার্থী শেখ সাদী বলেন, রাঝধানী থেকে এখানকার পরিবেশ খুবই ভাল। তবে সড়কের বেহাল দশা, প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারনে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মেলার ভিতরে খাবার হোটেল গুলোতে রাখা অতিরিক্ত খাবারের মুল্য। তাদের খাবার হোটেলের সব খাবারের দাম সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে।

কাঞ্চন থেকে আসা দর্শনার্থী তানজিলা আক্তার বলেন, এক বড় মেলায় দর্শনার্থীদের তুলনায় স্টল সংখ্যা কম। তাছাড়া মেলায় আসা যাওয়ার পথে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন সন্ধ্যা হলেই অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে।

মেলায় ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী রুহিমনি বলেন , মেলায় শিশুদের জন্য কোন রকম বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে শিশুরা অনেকটা অসহায়। এমনকি মেলায় তেমন কোন খেলনা সামগ্রির দোকান দেখা যায়নি। সেজন্য মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ী যেতে হচ্ছে।

রাজধানীর উত্তরা থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুজ্জামান বলেন, বাণিজ্য মেলায় আসতে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত সড়কের অনেকটাই বেহাল অবস্থা। সেই সঙ্গে সড়কে প্রচন্ড ধুলাবালি। মেলার পাশের মহাসড়ক এশিয়ান বাইপাস সড়ক থেকে আসা ধূলায় দর্শনার্থীদের বিপাকে পড়তে হয় । সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।

এদিকে যমুনা ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলা ভালো জমে। এবার আমরাই প্রথম ডিসকাউন্ট দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি। অন্যরাও বিভিন্ন পণ্যে ছাড় পেলে ক্রেতারা আকৃষ্ট হবে বলে তিনি মনে করেন।

এদিকে করোনা মহামারি আবার ইউরোপসহ অন্যান্য কিছু দেশে নতুন রূপে ছড়িয়ে পরায় এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণও কিছুটা কম।

এছাড়া দেশে গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা বাড়লেও মেলায় মাস্ক ব্যবহারে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। মাস্ক না পড়ার এ বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মাসব্যাপী মেলায় এবার দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কসমেটিকস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ-সামগ্রী, চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল ও টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিজাত খাদ্য, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে মেলার পরিচালক ও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর(ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, পূর্বাচলে নতুন ভেন্যুতে এ বছর প্রথমবার জমেছে এ মেলা। এ বছরের যেসব ক্রুটি থাকবে সামনে তা থাকবে না।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও