ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির পানিতে খড় ভিজে রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলারসহ , পীরগঞ্জ, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল এ-ই পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। জ্যৈষ্ঠমাসে বেশ বৃষ্টি হয়। ধান মাড়াইয়ের পর রাস্তায় ফেলে রাখা হয় খড়। বৃষ্টির পানিতে খড় ভিজে রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।বোরো আর আমনের এই মৌসুমে চাষিদের অনেক ব্যস্ত দেখা যায় দেশের সবখানে। তারা ধান কাটা থেকে শুরু করে ধান মাড়াই করা, খড় শুকানো ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে খড় শুকানোর জন্য অনেকাংশেই তারা বেছে নিয়েছে গ্রামের ছোট বড় কাঁচা পাকা রাস্তা। সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন এমনকি পথচারীদের।
বর্ষা, বৃষ্টি, ওভার লোডের গাড়ি ইত্যাদির কারণে দেখা যায় রাস্তার কোথাও না কোথাও কম বেশি গর্ত তৈরি হয়। সময় মতো সেগুলো সংস্কার করা হয় না। ফলে গর্ত থেকেই যায়। এসব গর্তের উপর দিয়ে যখন সমানতালে খড় বিছিয়ে দেয়া হয় তখন কোনোক্রমেই বোঝা সম্ভব হয় না কোথায় গর্ত রয়েছে। মোটরসাইকেলের আরোহী ছাড়াও ছোট বড় সব যানবাহন সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। খড় পিচ্ছিল হওয়াতে সাধারণ চলাচলেও বেশ বেগ পোহাতে হয়।বর্ষার আগমনীতে বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠমাসে বেশ বৃষ্টি হয়। ধান মাড়াইয়ের পর রাস্তায় ফেলে রাখা হয় খড়। বৃষ্টির পানিতে খড় ভিজে রাস্তাগুলো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই পথচারীদের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি এবং চাষিদের এমনভাবে বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন যাতে অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত হবে দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।