ঢাকা সিলেট মহাসড়কে কাঁচাবাজারের জন্য সারাদিন যানজট, ভোগান্তিতে পথচারী
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গোলাকান্দাইল এলাকার মহাসড়কে কাঁচাবাজার বসিয়ে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। বাড়ছে দুর্ঘটনা। মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে হিমসিম খাচ্ছে ফাঁড়ি পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায় মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ দখল করেছে কয়েক হাজার ফুটপাত ব্যবসায়ী। ফুটপাতে চলে ব্যাপক চাঁদাবাজি। এখান থেকে চাঁদাবাজরা তুলে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই এলাকায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লেগে থাকে যানজট। আটকে পড়া গাড়ির হাইড্রলিক্স হর্ণে পথচারীদের কান ঝালাপালা। ভোগান্তিতে পথচারীসহ দূরপাল্লার পরিবহন যাত্রীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ চাঁদাবাজদের ছত্রছায়ায় দখলে মহাসড়ক। হাইওয়ের পুলিশ ও ফাঁড়ি পুলিশের যোগসাজশে মহাসড়কটি দখল করে ফুটপাত বসিয়েছে চাঁদাবাজরা। এ দখলের বিষয় দায় স্বীকার করতে রাজি নয় কেউ।
অনুসন্ধানে জানা যায় আব্দুল হক সুপার মার্কেট, তাঁতবাজার ও গাউছিয়া কাঁচাবাজার মার্কেটের প্রায় হাজার কাঁচামালের দোকান আছে। ফুটপাতের বসতে সুযোগ পাওয়ায় দোকানে কেউ আর দোকান্দারী করে না। একটাই কারণ ক্রেতারা ভিতরে যায় না।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা এসকল মার্কেট থেকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে দোকান কিনছি, সেখানে কোন লোকজন নাই শুধু ফুটপাত ব্যবসায়ীদের কারনে, আমাদের অনেকেই মহাসড়কে দোকান বসিয়েছে, কাষ্টমাররা সব ওখানে। ফুটপাতে এখন ব্যবসা ভালো।
হকারদের অভিযোগ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের টাকা দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করে। কারা টাকা নেয় তাদের নাম জানে না।
ভুলতা ফাড়ির পুলিশ ফুটপাত পরিস্কার করতে চেষ্টা করলেও ফুটপাত কখনই পরিষ্কার রাখতে পারে না। বরং মহাসড়কে ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
সচেতনমহল মনে করেন সাওঘাট কাঁচামালের থাকায় এসকল অপেশাদার ব্যবসায়ীরা ভ্যানগাড়িতে করে কাঁচামাল নিয়ে মহাসড়ক দখল করার ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। যানজট নিরসনে এখান থেকে কাঁচাবাজারের আড়ৎ উচ্ছেদের বিকল্প নেই।
বিজ্ঞ মহল মনে করে ফুটপাতের ময়লা মহাসড়কের পাশে এই ভাগাড় গড়ে উঠছে। ময়লার ভাগাড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী। ফুটপাত তুলে দিলে এলাকা হবে পরিস্কার, পরিবেশ সম্মত। ফুটপাত তুলতে কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা। ###