আড়াইহাজারে বড় ভাইয়ের পর ছোট ভাইকে হত্যার অভিযোগ

জানুয়ারি ০৮ ২০২৩, ১৭:৫৬

Spread the love

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আড়াইহাজারে পূ্র্ব বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে চামচ দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলার গহরদীর নয়াপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আজিজুল হক হাওলদার।

নিহত ব্যাক্তির নাম মো. হাবিব মিয়া (৪৩)। সে আড়াইহাজার উপজেলার গহরদীর নয়াপাড়া এলাকার মৃত হাকিম মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৩) বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ একই পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, হান্নান মিয়া কাজী (৫৫), তার স্ত্রী জোসনা বেগম (৫০), তাদের দুই ছেলে সোহাগ (৩০) ও সুমন (২০)।

পুলিশ জানায়, নিহত হাবিব বাদীর দ্বিতীয় স্বামী। এরআগেও এই বসত ভিটা বাড়ির সীমানা নিয়ে বাদীর প্রথম স্বামীকেও অভিযুক্তরা একইভাবে হত্যা করেছে। ওই সময় স্থানীয় আপোষ মিমাংশা হওয়ায় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি। এরপর তিনি নিহত মো. বাতেন মিয়ার ছোট ভাই দেবর মো. হাবিব মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বসত ভিটা বাড়ির জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশি হান্নান মিয়া কাজী ও তার পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছে মো. হাবিব মিয়া ও তার পরিবারের সাথে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই হান্নান কাজী ও তার পরিবারের সদস্যরা গায়ে পড়ে নিহতের সাথে ঝগড়া করত। শনিবার দুপুরের দিকে বাড়ির ময়লা পানি নিষ্কাশন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হান্নান কাজী ও তার পরিবার হাবিব মিয়ার বাড়ির সামনে এসে তার সাথে আবারও ঝগড়া বিবাদ শুরু করেন। ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে হান্নান মিয়া কাজীর হুকুমে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে মিলে হাবিব মিয়াকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় হান্নান মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম তার হাতে থাকা একটি বড় লোহার চামচ দিয়ে হাবিব মিয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি আহত হয়ে জ্ঞাণ হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা হাবিব মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বিকেল তিনটার দিকে হাবিব মিয়ার মৃত্যু হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে এই ঘটনার আপোষের চেষ্টা করাসহ মামলা মোকদ্দমা না করার হুমকী প্রদর্শণ করছে।

আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) আজিজুল হক হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও