বায়ান্ন’র বাংলা ভাষা থেকেই ৭১’এ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি-বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ২১’র প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদেরকে স্মরণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাবাসী। মহান একুশে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২ টা ১ মিনিটে রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া এলাকায় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫২‘র ভাষা শহীদদের সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। প্রথমে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক সহ বিভিন্ন সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় শহীদ মিনার।
পরে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলালীগ, যুবমহিলালীগ, শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, অফিসার্স ক্লাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করেন।
ভাষা শহীদদের সম্মানে পুস্পস্তবক অর্পণ করে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক ভাবে আজ বাংলা ভাষা স্বীকৃত। আজ আমাদের ভাষা দিবস বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়, যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়। এর চেয়ে গৌরবের আর কী থাকতে পারে।
মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে যারা জীবন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তারা এই বাংলার অমর সন্তান। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির বুলেটে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া সেই রক্তাক্ত স্মৃতি আমরা স্মরণ করি, ফুলে ফুলে সাজিয়ে দেই তাদের কবর এবং তাদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার।
জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারনেই বাংলাদেশের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছে এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলনে যদি ভাষা সৈনিকেরা ঝাপিয়ে না পড়ত তাহলে আমাদের উর্দু ভাষাতেই কথা বলতে হতো। বায়ান্ন’র বাংলা ভাষা থেকেই আমরা ৭১’র স্বাধীন বাংলার সাধ পেয়েছি, বায়ান্ন’র বাংলা ভাষা থেকেই ৭১’রে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।
এ সময়, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল হক ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুঁইয়া বলেন, একুশের শহিদেরা হয়ে উঠেছেন বিশ্বের প্রতিটি বর্ণমালার প্রহরী— বাংলাদেশ পেয়েছে এক অনন্য স্বীকৃতি। সবাই যাতে শহীদ মিনারে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুস্পমাল্য অর্পণ করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কামরুল হাসান মারুফ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আমান উল্লাহ, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহেদ আলী, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আনছার আলী, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।####