তরমুজ চাষে সফল জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ভারাহুট- শিরট্রির চাষিরা

এপ্রিল ২৮ ২০২৩, ১৪:১১

Spread the love

মো: আশরাফুল ইসলাম:-জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ভারাহুট- শিরট্রি গ্রামে মাচা পদ্ধতিতে বারোমাসী তরমুজ চাষ হচ্ছে। এসব তরমুজ জমির পাশের সড়কেই বিক্রি হয়। প্রথম দিকে কয়েকজন যুবক শুরু করলেও এখন অনেক কৃষক ফলটি চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় এ চাষাবাদে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চাষ হচ্ছে তরমুজ। বারোমাসী এই ফল চাষে অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধি আসবে বলে মনে করেন কৃষকরা।
মাচা পদ্ধতিতে জয়পুরহাটে ব্লাক বেবী, সুগার কিং, মধুমালাসহ অন্তত ১৫ জাতের তরমুজ চাষ হচ্ছে। শুরুটা হয় ২০১৭ সালে। পাঁচবিবি উপজেলার ভারাহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় আড়াই শতক জমিতে পরীক্ষামূলক এই তরমুজ চাষ শুরু করেন। তার সফলতায় বর্তমানে আশেপাশের অনেক কৃষক চাষ শুরু করেছে। এতে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

অর্থাৎ শিরট্রি- ভুতগাড়ী সড়কের পাশেই অস্থায়ী ভাবে এসব তরমুজ কৃষকরা নিজেই বিক্রি করতেছে। ক্রেতারাও তরমুজ কেনার জন্য দূর থেকে আসে। তেমনি একজন নাহিদ ও ইয়ানুর তারা এলাকার তরমুজ এর সুনাম শুনে বড়পুকুরিয়া গ্রাম থেকে এসেছে তরমুজ কেনার জন্য তারা জানান এখানকার তরমুজ যেহেতু সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা যায় তাই দাম তুলনামূলক কম ও তাজা ফল পাচ্ছে। তাই এতো দূর থেকে আসা।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মণ তরমুজ খুচরা ও পাইকারিতে বিক্রি হয়।এদিকে লাভজনক এ চাষাবাদে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা। এতে কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি পরামর্শ দিচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়। ফসল উৎপাদন করে বিক্রি করে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এবার ফলন ও দাম দুটিই ভালো পাওয়াই কৃষকরা খুশি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও