রূপগঞ্জে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ মাদক কারবারিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

মে ০৯ ২০২৩, ২১:২০

Spread the love

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হাতে নাতে ৫০ পিছ ইয়াবাসহ চিহ্নিত এক মাদক কারবারিকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছে রূপগঞ্জ থানার দারোগা মির্জা শহিদুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্সরা। অযুহাত মাদক কারবারি নিজে একজন রোগী আর ক্যাথেটার ঝুলানো। অভিযোগ রয়েছে রোগী সেজে অভিনব কায়দায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে আলী হোসেন (৫০)। ঘটনা গত ৮ মে সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাড়িয়া ছনির। আলী হোসেন ওই গ্রামের ইসমত আলীর ছেলে।

অভিযোগ রয়েছে, বাড়িয়া ছনির বাসিন্দা আলী হোসেন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। একাধিকবার স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ তাকে হাতে নাতে আটক করেছে। সে নিজেকে কিডনি রোগী সাজিয়ে গত ৫ বছর ধরে ক্যাথেটার ঝুলিয়ে হাটা চলা করে আসছে। পাশাপাশি মাদক খুচরাভাবে প্রকাশ্যে বিক্রি করে। তাকে পুলিশ ধরলেই অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করে। ফলে পুলিশ তাকে ধরে কিন্তু ছেড়ে দেয়। শুধু তাই নয়, তাকে দিয়ে মাদক কারবার পরিচালনা করে কিছু অসাধু লোকজন। যারা পর্দার আড়ালে থাকে। তারাই পুলিশকে বা প্রতিবাদকারীদের গোঁপনে ম্যানেজ করে। এভাবে রোগী সেজে মাদক কারবার করে আসছে সে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইছাপুরা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রোমান মোল্লা বলেন, আলী হোসেন রোগী সেজে থাকায় কেউ জেনেও কিছু বলতে পারে না। এতে আমাদের বাজার ও এলাকার বদনাম হচ্ছে। আর যুবকরা মাদকে ঝুঁকে যাচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মির্জা শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বাড়িয়া ছনি এলাকার আলী হোসেন খুচরা মাদক বিক্রি করে আসছে তার নিজস্ব লোকদের কাছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িয়ে অভিযান চালনা করি। এ সময় আমি ছাড়াও অপর দুই সহকারী উপ পরিদর্শক ( এএসআই) শহিদুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম খানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ইছাপুরা এলাকার আনোয়ারের ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের বাড়ির ঘটনাস্থল থেকে ৫০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করি। কিন্ত মাদক কারবারি রোগী হওয়ায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তার হাতে ক্যাথেটার ঝুলানো রয়েছে দেখতে পাই। এমনকি সে হাসপাতালের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলো৷ কোন ছাড়পত্র খোঁজ করে পাইনি। তারপরও স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু রোগী তার আচরনে ভিন্নতা দেখালে এ বিষয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করি। পরে তাদের পরামর্শে ইয়াবা ও মোবাইল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, আটক করে ছেড়ে দেয়া হয়নি বরং রোগী থাকায় তাকে গ্রেফতারের পরিবেশ পায়নি পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত আলী হোসেন বলেন, আমি চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে এমন কাজে মাঝে মাঝে যুক্ত হই। কিন্তু ব্যবসা করি না। দু একটি করে বেচি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও