বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চিত

মে ২৩ ২০২৩, ২০:১৬

Spread the love

বিশেষ প্রতিবেদকঃ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদপত্রে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের জেড়ে বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু দৈনিক আমার বার্তার সাংবাদিককে লাঞ্চিত, অপমান, অশ্লীল ভাষা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। বিষয়টি সাংবাদিক মহলে জানাজানি হলে সাংবাদিক মহল ও সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তারা বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খোরশেদ আলম ও চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপুর বিরুদ্ধে জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন। তারা আরও বলেন অন্যায়কারী, দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রের অর্থ লোপাটকারী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, সাংবাদিকেরা তাদের বিরুদ্ধে লিখবে, মুখোশ উন্মোচন করবে ও যতই হুমকি ধামকি আসুক, মাথা নত করবে না।

আরিফুর রহমান অপু কোন স্বার্থে খোরশেদ আলমের মতো একজন অন্যায়কারীর পক্ষে সাংবাদিক লাঞ্চিত করলো সেটিও খতিয়ে দেখার দাবি করেছেন তারা। লাণ্চনার শিকার দৈনিক আমার বার্তার বিশেষ প্রতিনিধি এ আর মোল্লা শিল্প সচিবের নিকট ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে একটি অভিযোগ করেছেন।

তিনি অভিযোগে বলেছেন- গত বেশ কিছুদিন যাবত বিএসএফআইসি’র সিনিয়র ইলেক্ট্রিক্যাল ফোরম্যান খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে দৈনিক আমার বার্তা সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় অবৈধ নিয়োগ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে একসাথে দুটি বিশেষ বেতন বৃদ্ধি ও ৪টি পদোন্নতিসহ আরও কিছু অনিয়মের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশ করিয়া আসিতেছে।

কিন্তু বিএসএফআইসি কর্তৃপক্ষ খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে কোনরূপ পদক্ষেপ না নেয়ায় আমাকে আমার অফিস বিষয়টি অনুসন্ধান পূর্বক সংবাদ প্রকাশ করিতে দায়িত্ব প্রদান করে। ফলে আমি আমার দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপুর অফিসে গেলে তাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত পিএসের সাথে কথা বলে অনুমতি সাপেক্ষে তাহার রুমে প্রবেশ করি।

শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচয়ের পর, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খরব প্রকাশিত হয়েছে, এ ব্যাপারে খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদের করার কিছু নাই। জনগণ জানতে চায় (আমাদের কাছে) সংবাদ প্রকাশের পর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কিনা? যখন কোন সংবাদ প্রকাশিত হয় তখন জনগণের কাছে আমাদের একটি দ্বায়বদ্ধতা থাকে, কিন্তু আমাদের চেয়ে আপনার দ্বায়বদ্ধতা অনেক বেশি তাই জানতে এসেছি পদক্ষেপের ব্যাপারে?

উত্তরে তিনি বলেন, আপনার কাছে আমি দ্বায়বদ্ধতা স্বীকার করবো নাকি? জানতে আসছি আমরা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনার জানার কোন এখতিয়ার নাই। এছাড়া তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনার পত্রিকার নাম কি? তখন আমি আমার পত্রিকার নাম বললে, খুবই অপমান মূলক ভঙ্গিমা করে তিনি বলেন, এ ধরনের পত্রিকা , এ ধরনের ইয়ে নিয়ে…। এছাড়া (ধমকের সুরে) আপনারা ইয়োলো জার্নালিস্ট বলে অপদস্ত করেন ও দাম্ভিকতার সাথে বলেন, আমার কাছে দেশের টপ মোষ্ট সমস্ত পত্রিকার সমস্ত রিপোর্টাররা আসে।

আপনি সাংবাদিক জগতের কেউ কিনা, জানলে আপনি আমাকে চিনতেন। আপনাদের সবাই আমাকে চিনে। আমাকে সালাম দিয়ে যায়, ভাই কেমন আছেন। শেষটায় তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, হাউ ডেয়ার ইউ। এই লোককে এখানে কে ঢুকতে দিয়েছে। তখন পিয়নকে নির্দেশ দিয়ে বলেন ওকে ডাকো…এভাবে তিনি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এছাড়া চেয়ারম্যানের কক্ষে তার সামনে বসে থাকা এক ব্যক্তি আমাকে বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল কথা বার্তা বলেছেন, চেয়ারম্যানের পক্ষে।

অতএব আমার উপরিউক্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে জনাবের মর্জি হয়। এছাড়া অভিযোগটি শিল্পমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনকে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার এখনো আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও