৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে

সেপ্টেম্বর ১০ ২০২৩, ০০:২৩

Spread the love

নিউজ ডেক্সঃ লক্ষীপুর জেলা রামগঞ্জ পৌরসভা,রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচা বাজার বিগত ২ বছর টেন্ডার না দিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে ইজারা দিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় রামগঞ্জ পৌর মেয়রের আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে । এ নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে সাধারণ মানুষ, সর্বমহলে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। জানা গেছে মেয়র খুব প্রভাবশালী হওয়ার কারনে সাধারণ মানুষ এতদিন মুখ খুলতে দেরী করেছে, জানা গেছে বর্তমান এমপি আনোয়ার হোসেন খান এর আস্থাভাজন ও প্রিয় ব্যাক্তি। অনেকে এ ঘটনাকে কৌশলে আত্মসাৎতের অভিযোগ তুলে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচা বাজারের নতুন ভবনের নির্মান কাজ শুরু হয়। তখন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পৌর আঙ্গারপাড়া (পাকামাথার) ব্যবসায়ী ছালে আহম্মদের কাছ থেকে বর্তমান মাছ ও কাঁচা বাজারের জায়গাটি ১ লাখ টাকা বিনিময় লীজ নেয়। এবং সে জায়গায় পৌরসভার অর্থায়নে ৮লক্ষ টাকা ব্যয় করে বাজরের জন্য সেট নির্মান করেন। পরে ২০২১ইং সালে যথারীতি পৌরসভা বিধি অনুযায়ী টেন্ডারের আহবান করেন। মাছ ব্যবসায়ী নজির আহম্মদ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১৮ লাখ টাকায় বাজারটি ইজারা পায়। কিন্তু‘ পরবর্তি ২০২২ইং ও ২০২৩ইং বিধি অনুযায়ী ইজারা না দিয়ে পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী মৌখিকভাবে মাছ ব্যবসায়ী নাজির আহম্মদকে বছরে ২০ লাখ টাকা ২ বছরের জন্য ৪০ লাখ টাকা করে ইজারা দিয়ে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎত করেন। এতে পৌরসভা রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ইজারা গ্রহিতা ব্যবসায়ী নজির আহমেদ বলেন, আমি পৌরসভার মেয়রের কাছ থেকে বছরের ২০ লাখ করে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা করে আসছি।

আর কিছু বলতে পারবোনা। বর্তমান মাছ ও কাঁচাবাজারের জায়গা মালিক ব্যবসায়ী ছালে আহমেদ বলেন, পৌরসভা ভবন নির্মান কাজ শুরু হলে পৌর মেয়র আমার কাছ থেকে অস্থায়ী রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচা বাজারের জন্য বছরে ১ লক্ষ টাকা করে জায়গাটি আমার কাছ থেকে লীজ নেয়। পরে পৌরসভা অর্থায়নে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বাজারের জন্য সেট নির্মানকরেন। চলতিবছর (২০২৩সালে) আমি লীজ বাতিল করতে চাইলে, মেয়র আমাকে ডেকে এ বছর সময় নেয়। এ ব্যাপারে পৌরসভার সাথে আমার চুক্তিনামা কাগজপত্র আছে। পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, বেলাল হোসেন, আকবর হোসেন ও শহীদুল ইসলামসহ ১০জন ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মানুষের ট্রাক্সের টাকায় দিয়ে মেয়র বাজারের সেট নির্মান করেন। মৌখিকভাবে লিজ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎত করেছেন। এ ব্যাপারে তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান। তারা আরো আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, পৌরসভা এলাকা রাস্তাঘাটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এ খাত থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পৌর রাজস্ব আদায় হলে কয়েকটি রাস্তাতো সংস্কার করা যেতো।

নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন পৌর কর্মকর্তা বলেন, পৌরসভার ৮লাখ টাকা ব্যয়ে বাজরের সেট নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু প্রথম বছর বিধি অনুযায়ী ইজারা দিলেও বিগত বছল ও চলতি বছর কেন টেন্ডার না দিয়ে মৌখিকভাবে ইজারা দিয়েছেন। সেটা মেয়র জানেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, এই সব কথা মিথ্যা ও বানোয়াট গত দুই বছর যাবৎ আমাদের রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচাবাজার ভবনের নির্মাণের কাজ চলিতেছে তাই মাছ ও কাঁচাবাজার টেন্ডার দেওয়া সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একজনের ব্যাক্তিগত জায়গায় লীজ নিয়ে তারা ব্যবসা করিতেছে। আমার এখানে কোন সংপূক্ততা নেই।

লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন,এ ব্যাপারে আমি অবগত নয়। আপনার কাছে শুনেছি বিষয়টি তদন্ত করে আইনানু ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও