রূপগঞ্জের পূর্বাচলে শেখ হাসিনা ও তার স্বজনদের ৬০ কাঠা প্লট বাতিলে বিক্ষোভ
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: পূর্বাচলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য বরাদ্দ দেয়া প্লট বাতিলের জন্য বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পূর্বাচলের ২৭ নং সেক্টরে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয়রা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা নিজেকে অসহায় এবং নিঃস্ব বলে সভা-সমাবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা স্বয়ং নিজের নামে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোন ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ৯। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়। সম্প্রতি রাজউকে গিয়ে দেখা যায়, রেকর্ডরুমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাইলগুলো বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। হাসিনার প্লট বরাদ্দের ফাইলের ওপর বড় ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে ভি-৩, পাতা ১৪১। ফাইলে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্রের কপি, বরাদ্দপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে। এসব প্লট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
এ সময় তারা আরও বলেন, রাজউকের উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত বরাদ্দপত্রে লেখা হয় ‘কাঠা প্রতি ৩ লাখ টাকা হিসাবে ১০ কাঠার প্লটের মোট মূল্য ৩০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। হাসিনা ছাড়াও ১০ কাঠা করে প্লট নেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। তাদের প্লট নম্বর যথাক্রমে ১৫ এবং ১৭। এর মধ্যে জয়ের নামে প্লটের বরাদ্দপত্র জারি করা হয় ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর। পরে ১০ নভেম্বর প্লটের মালিকানাসংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। এর আগে ২ নভেম্বর পুতুলের নামেও ১০ কাঠা প্লটের বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। এতে এস্টেট ও ভূমি-৩ শাখার তৎকালীন উপপরিচালক হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষর রয়েছে। যা অন্যায়ভাবে নেয়া হয়েছে।
বিক্তোভকালে বক্তারা আরও বলেন, শুধু হাসিনা ও তার ছেলেমেয়ে নন; পূর্বাচল প্লকল্পে ১০ কাঠা করে প্লট নেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলেমেয়ে। তাদের নামেও যথারীতি প্লট বরাদ্দ করা হয় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের একই জায়গায়। সেখানে শেখ রেহানার প্লট নম্বর ১৩, তার ছেলে রাদোয়ান মুজিব সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১১ ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকের প্লট নম্বর ১৯।