যখন বিদেশি অতিথিরা দেশে আসতে অপারগতা প্রকাশের পরেই করোনা আক্রান্তদের খবর প্রকাশ হলো: মির্জা ফখরুল

মার্চ ১০ ২০২০, ০০:১৩

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃকরোনা ভাইরাসের বিষয়টি সরকার গোপন করতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ‘প্রগতি ও সত্যের সন্ধ্যানে’ ও ‘মূল্যবোধ অবক্ষয়ের খণ্ডচিত্র’ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে এতদিন কিছু বলেনি। তারা খুঁজে পায়নি। কী কারণে পায়নি তা জানি না। তবে হঠাৎ করে গতকাল খুঁজে পেয়েছেন। যখন বিদেশি অতিথিরা দেশে আসতে অপারগতা প্রকাশ করলেন তখনই এই তিনজনের নাম এলো।’

‘আমার ধারণা তারা বিষয়টাকে পুরোপুরি গোপন করার চেষ্টা করেছেন। এ ব্যাধিটি দেশে অনেক আগেই এসেছে বলে অনেকের ধারণা। এ ধারণা সত্যিকার অর্থে এখন প্রকাশিত হচ্ছে’- যোগ করেন ফখরুল।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা মনে করি এ বিষয়ে আগে থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেগুলো নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে সব এয়ারপোর্ট-নৌবন্দর স্থলবন্দরে যথেষ্ট পরিমাণ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা দরকার। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেওয়া দরকার। যাতে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারে।

তিনি বলেন, আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। কেন কারাগারে আছেন? সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে। অন্যদিকে, যে ধরনের মামলায় তিনি আটক আছেন, সেই ধরণের মামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মুক্ত আছেন, জামিন পেয়েছেন। আমার কথা হচ্ছে, বিচার বিভাগ একই ধরনের মামলায় যখন অন্যদের জামিন দেয় অন্যদের মুক্তি দেন, তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন না কেন? এটাই হচ্ছে অবক্ষয়।

পিরোজপুরের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিরোজপুরে এক মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপিকে দুদকের একটি মামলায় প্রথমে বিচারক কারাগারে নিতে বললেন। তারপর চাপ দিয়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার অনুমতি নেওয়া হলো। পরবর্তীতে সেই দিনই মামলা অন্য কোর্টে নিয়ে অধস্তন বিচারকের মাধ্যমে জামিন দেওয়া হলো। ওই বিচারককে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে দেওয়া হলো। কোথায় বিচার বিভাগ। কোথায় আমরা যে বলি সকলের কাছে বিচার সমান, সে বিচার কোথায়?

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র যদি না থাকে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি ধ্বংস করে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে কোনো কিছু গড়ে ওঠে না। আজকে আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম, সেই স্বপ্ন সম্পূর্ণভাবে চুরমার হয়ে গেছে, ধ্বংস হয়ে গেছে। দেখুন কী ধরনের অশোভন কথাবার্তা। যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, একজন ৪০০ টাকার মেজর, একদিনের বাঁশি ফুঁয়ে স্বাধীনতা আসেনি। দুর্ভাগ্য হচ্ছে এই মেজরের বাঁশির ফুতেই সমগ্র জাতি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। আপনারা তো কেউ পলায়নপর ছিলেন, কেউ আত্মসমর্পণ করেছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও