ফেচবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো পোস্টে লাইক,কমেন্ট,শেয়ার দিলেই আইনানুগ ব্যবস্থাঃর্যাব মহাপরিচালক
শুক্রবার সকালে আসন্ন ঈদুল ফিতর ও চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গৃহীত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন।
অপরাধী দমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর সময়ে বিভিন্ন অভিযানে ধর্ষক ও ৩১ জন হত্যাকারী, ৪৭ জন জঙ্গি, ২ হাজার ৫০১ জন অপরাধী, ১ হাজার ৪৮৫ জন মাদক ব্যবসায়ী ও ৮৯ জন অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অস্ত্র তৈরির কারখানা ও ২ জন কারিগর, ১২৭টি অস্ত্র, ৩ হাজার ১শ ৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এবার ঈদুল ফিতরে ঘরের বাইরে না থেকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এবার একেবারেই ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে আমরা দেশবাসী পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন প্রায় প্রতিটা জেলা করোনা আক্রান্ত। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত। দেশবাসীকে অনুরোধ করব, ঈদের দিনে কেউ ঘোরাফেরার জন্য বাইরে বের হবেন না। আপনারা ঘরে থাকুন, আপনাদের জন্য আমরা আছি বাইরে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছর খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে থাকি। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মতে মসজিদগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে একাধিক ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদের নামাজকে ঘিরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যায় র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্যবার ঈদের নামাজকে ঘিরে অল্প সময়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন হতো। কিন্তু এবার মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার কারণে দীর্ঘসময় ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। সেজন্য মসজিদ কমিটি ও সম্মানিত মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে আসবেন, লাইন ধরে আসবেন, নামাজ শেষে একটা নির্ধারিত সময় গ্যাপ দিয়ে পরের ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় নামাজে জামাতের আয়োজন বা ব্যবস্থা করবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মহাপরিচালক মামুন বলেন, ‘এবার ঈদের দিনে বিনোদনের নামে ঘোরাঘুরির বা কোনো বিনোদন কেন্দ্রে, দর্শনীয় স্থানে জমায়েত করা যাবে না। অনুরোধ করব, আপনারা ঘরেই থাকবেন। বিনোদন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থানগুলোতে র্যাবের নজরদারি থাকবে। জমজমাট ঈদ উদযাপন না হয় অন্য কোনো ঈদে করা যাবে।’