মানুষের অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়েছে,সামনে আরো কঠিন সময়:ওবায়দুল কাদের
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে শৈথিল্য ভাব সৃষ্টি হয়েছে। অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ধৈর্য ও শৃংখলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলেও অনেকেই এসব কানে তুলছেন না। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘোরাফেরা করছেন হাট-বাজারে, ভিড়ে সমাগমে অংশ নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। এ উদাসীনতায় নিজে ও আশপাশের সবার ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছেন। অবনতি ঘটেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগের। এতে শহরে গ্রামে সর্বত্রই সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে।
ওবায়দুল কাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দয়া করে আসুন সবাই সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলি। কারণ প্রতিকার সমাধান নয়, এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে ও সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আপনার সামান্যতম শৈথিল্য নিজ পরিবার এবং পার্শ্ববর্তী সবার জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংকট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে।
ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১৫টি দেশ এবং অঞ্চল সমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে, বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ২৩তম। এই সংক্রমণ থেকে ছোট বড় ধনী-গরিব কেউই রেহাই পাচ্ছে না। প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার তথা সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। সামনে কঠিন সময়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
সামনে কিছু দিন বাংলাদেশে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ধৈর্যহারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। যারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করছেন তাদেরও মনোবল না হারিয়ে সাহসিকতার সাথে লড়াইয়ের অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনারা মনে সাহস রাখুন, ধৈর্য ধরুন। সংকট ও দুর্যোগে সাহসী নেতৃত্ব দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং তার সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। জনগণের সাহসিকতা নিয়ে আমরা অনিশ্চয়তার আঁধার কাটিয়ে উঠব ইনশাল্লাহ।