সংক্রামক রোগ দুর্বল, ক্ষমতাধর, উন্নত, উন্নয়নশীল কাউকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে নাঃপ্রধানমন্ত্রী

জুন ০৪ ২০২০, ২২:০৩

Spread the love
আগমনীী ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারি প্রমাণ করেছে যেকোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কতটা অসহায়। করোনা মহামারি আমাদের দেখিয়েছে সংক্রামক রোগ কোনো সীমান্ত চেনে না এবং দুর্বল, ক্ষমতাধর কিংবা উন্নত, উন্নয়নশীল কাউকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে না। এটি আমাদের আরও স্মরণ করিয়ে দেয় পুরানো প্রবাদ, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনই উত্তম।বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন ‘গাভি’ আয়োজিত “গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিটে” দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী প্রতি চার মাসে একটি নতুন সংক্রামক রোগের উদ্ভব হয়। গ্লোবাল ভাইরোম প্রজেক্ট অনুমাণ করছে প্রায় ৭০০ হাজার ভাইরাস আছে যেগুলো মহামারি সৃষ্টি করতে সক্ষম। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মানবজাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই মানব অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। এই যুদ্ধে ‘গাভি’ আমাদের সবচেয়ে ভালো সহায়তা দিতে পারে।

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০০ সাল থেকে গাভি ৭৬০ মিলিয়ন মানুষকে প্রাণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করছে এবং সারাবিশ্বে ১৩ মিলিয়নের বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে। সবার সহযোগিতায় তারা এটি অব্যাহত রাখতে পারবে।

এ সময় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে দেওয়া সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।গাভির জন্য তহবিল বাড়াতে এই ভার্চ্যুয়াল সামিটে বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহে এই সম্মেলনের আয়োজন করে যুক্তরাজ্য সরকার।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও