করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত ৫৩ জন চিকিৎসকের মৃত্যু

জুন ২৬ ২০২০, ১৪:৩৮

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃকরোনায় দেশে  চিকিৎসকের প্রথম মৃত্যু হয় গত ১৫ এপ্রিল।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৭ জন এবং করোনার উপর্সগ নিয়ে ৬ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত দেশে আরও চারজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট ৫৩ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো।

বিএমএর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পর্যন্ত দেশের ১ হাজার ২৬৮ জন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন ঢাকা জেলার চিকিৎসকেরা। এই জেলায় গতকাল পর্যন্ত ৫৩৮ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার ৩ টি বড় সরকারি হাসপাতালেরই ৩৪৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৭১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০ জন ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে আছেন ৫৬ জন।

ঢাকায় এত চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিএমএর করোনা প্রতিরোধ ও সহায়তাসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া মুঠোফোনে বলেন, ঢাকায় হাসপাতাল-ক্লিনিক ও রোগী—দুটোই বেশি। তাই দেশের অন্য এলাকার চেয়ে ঢাকায় বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন।

চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ১৯৯ জন নার্স এবং ১ হাজার ৬২৮ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি এ–সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও জরুরি। কিন্তু এ দুটিতেই এখনো ঘাটতি আছে। সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের গবেষণাতেও বিষয়টি উঠে এসেছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশের ৩৮টি জেলার ৪৭টি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাত্র ২২ দশমিক ২ শতাংশ হাসপাতালের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ সবাই করোনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। আর ২ দশমিক ২ শতাংশ হাসপাতালের কেউই প্রশিক্ষণ পাননি। গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ২৫ শতাংশ হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও ৩৪ শতাংশ হাসপাতালের সব নার্স ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (পিপিই) পাননি বলে জানিয়েছেন।

বিএমএর কাছে আক্রান্ত চিকিৎসকের হালনাগাদ হিসাব থাকলেও তাঁদের মধ্যে কতজন চিকিৎসাধীন আছেন এবং কতজন সুস্থ হয়ে কাজে ফিরেছেন, তার সঠিক হিসাব নেই। তবে বিএমএ বলছে, আক্রান্তদের অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়েছেন এবং তাঁদের প্রায় সবাই আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও