করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণঃতথ্যমন্ত্রী

জুলাই ০৭ ২০২০, ২২:০৯

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃকরোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এই ভাইরাসের প্রকোপ, ভয়াবহতা এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে মানুষ যেন ঠিকভাবে জানতে পারে এবং একইসঙ্গে এসময় যারা কর্মে নিয়োজিত, তারা যাতে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেজন্য গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।

করোনা সংকট মোকাবিলায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও মানুষকে আশাবাদী করে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলে সবাই একমত পোষণ করেন।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ ছিল তারা যেন গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে এবং গণমাধ্যম যাতে চালু থাকে। আমরা দেখছি, সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গণমাধ্যম চালু আছে।’

তবে অনেক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন এরইমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা এবং করোনা উপসর্গ মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

এরমধ্যেই ছয়টি পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাকালে অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেসক্লাব ও ডিসি অফিস এ কাজে সহায়তা করছে।’

প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম উত্থাপিত ‘প্রেসক্লাবের মূল আয় হল ভাড়া বন্ধ থাকার কারণে প্রেসক্লাব কিছুটা আর্থিক সংকটে পড়েছে’ -এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি নিয়ে আরো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন কোন পর্যায়ে, সেটি বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে কয়েকটি পত্রিকায় দেখেছি প্রকোপটা কমতির দিকে। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সমস্তকিছু যখন আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে, প্রেসক্লাবও সেক্ষেত্রে সীমিত আকারে খুলে দেবার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।’

এ সময় সংবাদপত্রগুলোর বিক্রি ও ছাপা সংখ্যা দুটিই কমেছে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ অবস্থা লক্ষ্য করেই আমি নিজে অনুরোধ করে মন্ত্রিপরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, যাতে তারা সংবাদপত্রের বকেয়াগুলো পরিশোধ করে। এতে অনেকটা ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং প্রয়োজনে আবার তাগিদ দেওয়া হবে। বকেয়া বিলগুলো পেলে সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া সহজ হয়, সেজন্যই এ পদক্ষেপ।

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল আলম, নির্বাহী সদস্য কুদ্দুস আফ্রাদ, আবদাল আহমেদ ও জাহিদুজ্জামান ফারুক সভায় করোনাকালে গণমাধ্যম ও জাতীয় প্রেসক্লাব বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও