তিনি বলেন, তারপরও এরমধ্যে যে খবরগুলো পাচ্ছেন, এটা কারা করছে? আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়। কে এ ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত, অনিয়মের সাথে জড়িত, আমরা যাকেই পাচ্ছি, যেখানেই পাচ্ছি আমরা ধরছি।আবার ধরছি বলেই.. চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরাই ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল, সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে।

করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার-নার্সদের সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে যথেষ্ট বেড এবং সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার নার্স এবং টেকনিশিয়ানদের যারা কাজ করছে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার জন্য হোটেল ভাড়া করে থাকা-খাওয়া সব দিয়ে রাখা হচ্ছে,সেখানে খরচ তো হবেই।

সংসদ নেতা বলেন দীর্ঘ দিন এই দেশে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ এদেশের মানুষের চরিত্র হনন করেছে,, তারা সমাজকে কলুষিত করে দিয়ে গেছে। মানুষ যে একটা আদর্শ নিয়ে চলত নীতি নিয়ে চলত তা শেষ করে দিয়ে গেছে। কারণ তাদের অবৈধ ক্ষমতাটাকে নিষ্কন্টক করা- এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেখানে এইভাবে বছরের পর বছর  দুর্নীতির বীজটা বপন করেছে। এটা এখন মহিরুহ হয়ে গেছে, আপনি যতই কাটেন আবার কোথা থেকে গজিয়ে ওঠে।

কারণ মানুষের চরিত্রটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। সেই ক্ষেত্রে এই চরিত্রহীণতা একেবারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ছিল। সেখানে থেকে যতই চেষ্টা করেন এটা মূল উৎপাটন করা যথেষ্ট কঠিন। তারপরেও এরমধ্যে যে খবরগুলো পাচ্ছেন, এটা কারা করছে? আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়।কে এ ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত অনিয়মের সাথে জড়িত, আমরা যাকেই পাচ্ছি, যেখানেই পাচ্ছি আমরা ধরছি। আবার ধরছি বলেই.. চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরাই ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল। অনিয়মটাই নিয়ম ছিল, অনিয়মটাই নিয়ম ছিল সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা আসার পর আওয়ামী লীগ আসার পর সেগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি; যতটুক পারি সেগুলো শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আগেই বলেছি আমরা এ অনিয়মগুলো নিশ্চই মানব না। যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব ,এটা অব্যাহত থাকবে।