যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায় তারা দেশের শত্রুঃতথ্যমন্ত্রী

জুলাই ১৯ ২০২০, ১০:১৮

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃতথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে চিরতরে বিদায় করার লক্ষ্যেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যারা ছড়ায় তারা প্রকৃতপক্ষে মানবতা ও বাংলাদেশের শত্রু।

শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তার নেতৃত্বে আমরা কীভাবে অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করতে হয়, কীভাবে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সবাই ভাই-ভাই এর মতো একসঙ্গে  চলতে হয়, সেই শিক্ষা আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হয় দেশ এবং বিদেশ থেকে। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা ফেসবুক এবং ইউটিউবের আশ্রয় নেয়। এর মাধ্যমে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে বাঙালি, আমাদের দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে, কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান। এটিই হচ্ছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের সঙ্গে যারা বিএনপি-জামাত করেন তাদের পার্থক্য।

তথ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ টেনে বলেন, আমি যখন ছাত্রজীবনে ঢাকায় যেতাম তখন আমি কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারে থাকতাম। সেখানকার গুরুভান্তে সদ্য প্রয়াত শুদ্ধানন্দ মহাথেরোর বাড়ি আমাদের এলাকায়। তিনি আমার বাবার সমসাময়িক।

‘আমি তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতাম। উনিও আমাকে সন্তানের মতো আদর করতেন। এটার মধ্যে কোনো খাদ ছিল না। দিনের বেলা না খেলেও রাতের বেলা সেখানে খেতাম। একথা আমি ঢাকায় বৌদ্ধ মন্দিরসহ সবখানে বলেছি।’

তিনি বলেন, মানুষ বড় হলে অতীতের কথা বলে না, ভুলে যায়। আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একবার প্রতিমন্ত্রী, দুবার কেবিনেট মন্ত্রী করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা আমাকে নানাভাবে স্নেহ দিয়েছেন বড় করেছেন তাদের কথা আমি ভুলতে পারি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন আল কাদেরী, রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ধর্মসেন মহাস্থবির, সাধারণ সম্পাদক সুমঙ্গল মহাথের, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, সৈয়দবাড়ি ধর্মপ্রবর্তন বিহারের অধ্যক্ষ পরমানন্দ থের।

হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিত সুজন চক্রবর্তী, অসীম চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য আঞ্চলিক চার্চ সংঘের প্রধান পালক রেভারেন্ড সহখরীয় বৈরাগী, রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী আস্তানা শরীফের পীরজাদা মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, সরফভাটা মোয়াবিনুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বয়ান, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাওলানা আইয়ুব নুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমূখ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও