বিএনপি দুর্নীতির কথা বললে লোকে হাসেঃতথ্যমন্ত্রী

জুলাই ২৬ ২০২০, ১৯:৩৮

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃতথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি- দুঃশাসনের কারণে যারা দেশকে পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, একবার অবশ্য আফ্রিকার একটি দেশের সাথে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন -সেই বিএনপির মুখপাত্র  রিজভী আহমেদ যখন দুর্নীতির কথা বলে, তখন লোকে হাসে।রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আওলাদ হোসেন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

তিনি বলেন, পেট্রল বোমার রাজনীতি করার কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শুধু জনগণ থেকেই নয়, বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। টেলিভিশনে উপস্থিতির মাধ্যমে তারা তাদের অস্তিত্বটা প্রমাণ করার চেষ্টা করে এবং সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন কথা বলে, এছাড়া অন্য কিছু নয়।

বন্যা মোকাবিলায় সরকারের তৎপরতা সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যা-দুর্যোগ মোকাবিলায় অতীতেও সক্ষমতা দেখিয়েছেন, এখনো সফলভাবে বন্যা মোকাবিলা করছেন। ১৯৯৮ সালে যে ভয়াবহ বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ স্থল তিন মাস পানির নিচে ছিল, তখনও অনাহারে মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। এবং সেই বন্যাকে সফলভাবে মোকাবিলা করে তিনি বিশ্ববাসীকে তার সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে গত সাড়ে ১১ বছরে যত প্রাকৃতিক দুর্যোগ-বন্যা হয়েছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করে দুর্যোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করেছেন। এখনও বন্যা মোকাবিলায় তার নেতৃত্বে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ পুরো সরকার কাজ করছে, বন্যার্তদের কাছে সাহায্য পাঠানো থেকে শুরু করে সবকিছু করা হচ্ছে।

আর যারা এ নিয়ে টেলিভিশনে বসে বসে কথা বলছেন, তারা কিন্তু বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াননি, মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা স্ব স্ব জায়গায় যেখানে বন্যা হয়েছে, সেখানে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি আবারও আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানাবো যতদিন বন্যা থাকবে, ততদিন তারা যেন মানুষের পাশে থাকে।

চলচ্চিত্র শিল্প প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হাত ধরে ১৯৫৭ সালে যে শিল্পের যাত্রা শুরু সেই শিল্পের স্বর্ণালী যুগ ফিরে আনতে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই শিল্পকে কিভাবে বাঁচানো যায়, কিভাবে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, কিভাবে আমাদের দেশের বাংলা ছবি আন্তর্জাতিক বাজারেও স্থান করে নিতে পারে, সে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবসময় চিন্তা করেন, আমাকেও নানা নির্দেশনা দিয়েছেন, আমি তার সাথে আলোচনাও করেছি।

এসময় চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, সিনেমা হলগুলোর বিদ্যুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্প হারে নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আর বিদেশি চলচ্চিত্র আমদানির বিষয়ে সবার সাথে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিনেমা হল আধুনিকায়ন ও নতুন করে চালু করার জন্য স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথেও আলোচনা চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও