হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর,তুর্কি পতাকা পোড়াচ্ছে গ্রিস

জুলাই ২৭ ২০২০, ০৯:৫৮

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ হায়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রিস। দেশটির বন্দর শহরে তুরস্কের পতাকা পোড়ানো হচ্ছে।এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার  এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “গ্রিস কর্তৃপক্ষ জনগণকে উসকে দিয়েছে, পতাকা পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে”।তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হামি আকসায় বলেছেন, আমরা গ্রিসের সরকার ও সংসদ সদস্যদের ঘৃণাজনক বিবৃতির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারা জনগণকে উসকে দিচ্ছেন এবং বন্দর শহর থেসালুনিকিতে আমার মর্যাদাপূর্ণ পতাকা পোড়ানোর অনুমতি দিচ্ছেন।খবর আনাদোলু এজেন্সির

শুক্রবার জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে ৮৬ বছর পুনরায় মসজিদ হিসেবে চালু হয় হায়া সোফিয়া। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান যখন হায়া সোফিয়ায় জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। সেসময় গ্রিস জুড়ে চার্চগুলোতে শোকের ঘন্টা বাজানো হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক বলেছে, হায়া সোফিয়া নামাজের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার প্রতিক্রিয়া দেখানোর অজুহাতে গ্রিস আবারো ইসলাম ও তুরস্কের প্রতি তার শত্রুতা প্রদর্শন করছে।

প্রসঙ্গত হায়া সোফিয়ার ইতিহাসের সূচনা ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে, যখন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্ন নামে এক জায়গায় একটি বিশাল গির্জা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় বিশাল গম্বুজের এই গির্জাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং দালান বলে মনে করা হতো। ১২০৪ সালে ক্রুসেডারদের হামলার ঘটনা বাদে কয়েক শতাব্দী ধরে হায়া সোফিয়া বাইজান্টাইনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

ওসমানীয় বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহমেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন।এবং চার্চটি কিনে নেন।আগে  শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল।

ওসমানীয় শাসকেরা এরপর হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করেন। মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন। গির্জার সব খ্রিস্টান প্রতিকৃতি এবং সোনালি মোজাইকগুলো কোরানের বাণী দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এর পরের কয়েক শ’ বছর ধরে হায়া সোফিয়া ছিল ওসমানীয় মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

৪৮১ বছর পর ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রীপরিষদ এটিকে জাদুঘরে পরিণত করে। ৮৬ বছর পর আবার তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও