‘বিডিআর বিদ্রোহের সত্যটা একদিন বের হবে,তখন যারা ক্ষমতায় আসতে পারে নাই,তারাই পিছনে ছিলঃপ্রধানমন্ত্রী

সেপ্টেম্বর ০৭ ২০২০, ১২:২১

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃরোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের উদ্বোধনী সেশনে,শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনের উপর আলোচনায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা ক্ষমতায় আসতে পারে নাই তারাই তাদের পেছনে ছিল। তাদের সঙ্গে ছিল ওয়ান-ইলেভেন যারা সৃষ্টি করেছিল তারা। আওয়ামী লীগ মেজরিটি ক্ষমতায় আসার সবকিছুকে নস্যাৎ করার পরিকল্পনায় তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। একদিন না একদিন এই সত্যটা বের হবে।’করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় অধিবেশন। বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় অধিবেশনের কার্যক্রম।

শুরুতেই ঢাকা-১৮ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও নওগাঁ-৬ আসনের ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। এ সময়, সংসদে প্রয়াত দুই নেতার স্মৃতিচারণ করে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। প্রয়াত নেত্রী সাহারা খাতুনের সাহসিকতার প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে আমার নামে অন্তত ১২টি মামলা দেয়া হয়। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আরো ৫-৬টি মামলা করা হয়েছিলো। তাদের সবারই একটা প্রচেষ্টা ছিলো যে, দ্রুত এসব মামলার রায় দিয়ে আমাকে শাস্তি দিয়ে দেবে।

রাজনৈতিক হয়রানির জন্য দায়ের করা এসব মামলা মোকাবিলার বিষয়ে সাহারা খাতুনের দক্ষতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মামলাগুলোর ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন সাহারা আপা! একদিন পরপরই আমাকে কোর্টে হাজিরা দিতে হতো; উনি সেখানে উপস্থিত থাকতেন। এমনকি আমাকে কোর্টে নিয়ে গেলে, নেতা-কর্মীরা সেখানে হাজির হলেও, পুলিশ ধাওয়া করতো! কখনো কখনো গ্রেপ্তারও করতো! উনি (সাহারা খাতুন) সবসময় এমন পরিস্থিতিতে ছুটে যেতেন। তাদেরকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতেন তিনি। এইভাবে নানান পরিস্থিতিতে তার সাহসিকতা দেখেছি আমরা। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি, তা সত্যিই কখনো পূরণ হওয়ার নয়।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে বিডিআর বিদ্রোহের সময় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের অসীম সাহসিকতার বিষয়টি।

তিনি বলেন, সাহারা খাতুনের সাহস দেখেছি ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময়। এই ঘটনা নিয়ে বিএনপি থেকে শুরু করে অনেকেই অনেক ধরনের কথা রটিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ সে সময় ক্ষমতা গঠনের পর, ৫২ দিনের মাথায় এই ঘটনাটা ঘটলো।

বিদ্রোহে যেসব সেনা কর্মকর্তারা মারা গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। শেখ হাসিনা জানান, এই ঘটনাটা ঘটার সাথে সাথেই আমাদের চেষ্টা ছিলো এটাকে থামানোর। সেখানে যে জিম্মি কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের বাঁচানো বা পরিবারগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম আমরা। সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করলাম, আর সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন সেনাসদস্য সেখানে মারা গেলো।

দলের আরেক প্রয়াত সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এত অল্প সময়ে চলে যাবেন বুঝতে পারি নাই। তার করোনা হওয়ার পর ভালো হয়েছিল। তার কিডনির সমস্যা ছিল, কিন্তু সে কিছু মানেনি। যখন একটু সুস্থ হলো, চলে গেলেন এলাকায়। এভাবে করোনার সময় আমরা আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী হারিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়েই কিন্তু তারা জীবন দিয়েছেন। ইসরাফিলের ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও