স্বৈরাচার নিপাত যাক,গণতন্ত্র মুক্তি পাক,তার শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নূর হোসেন সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সাহসী বীরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। নূর হোসেন নিজের বুকে পিঠে লিখেছিলেন, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। তার শরীর ছিল জীবন্ত রাজনৈতিক পোস্টার।’তিনি আরও বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে, ৩০ লাখ শহীদের আকাঙ্ক্ষার অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল, উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে, সত্যিকারের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।’
বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ভাবাদর্শকে ধারণ করে যে রাজনৈতিক দলের জন্ম তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কাছে গণতন্ত্র ছিল, হা এবং না ভোটের গণতন্ত্র। যে ভোটে না বাক্স ছিলই না। সেদিন কোনো কোনো কেন্দ্রে ১১০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তাদের গণতন্ত্র কারফিউ গণতন্ত্র। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে বিএনপি প্রধান অন্তরায়।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে আহ্বান জানাই, গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন। রাজনীতির ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসুন। গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার চক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসুন। ষড়যন্ত্র আর পেছনের দরজা দিয়ে আপনারা ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি পরিহার করুন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ দিন দিন বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকার দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।