২০৪১ সালে সোনার বাংলায় দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের কোনো বিষয়ঃপ্রধানমন্ত্রী

নভেম্বর ১৮ ২০২০, ২২:৪৮

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের রূপকল্প ২০৪১ সামনে রেখে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান রূপকল্প। এক. ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে মাথাপিছু আয় হবে ১২৫০০ ডলারের বেশি। দুই. সোনার বাংলায় দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের কোনো বিষয়।বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নওগা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহীদুজ্জামান সরকারের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ মোট চারটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। ওই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথমটি হলো— অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ব-দ্বীপ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্যসমূহ, টেকসই উন্নয়নের অভীষ্টের লক্ষ্যসমূহ, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

‘এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কতিপয় কার্যকরী কৌশলেরও সুপারিশ করা হবে। কাউকে পেছনে ফেলে নয় বরং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন—এ পরিকল্পনার মূলমন্ত্র। অষ্টম পঞ্চমবার্ষিক পরিকল্পনায় যে দুটি মূল বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হলো—
এক. ত্বরান্বিত সমৃদ্ধি ও সর্বাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি। দুই. অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি।’

শেখ হাসিনা বলেন, বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০২৫ সাল নাগাদ ৮ দশমিক ৫১ শতাংশে উন্নীত করা এবং প্রবৃদ্ধির সুবিধাগুলো কীভাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছানো যায় তার সুপারিশ করা হবে।তিনি আরও বলেন, উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং উত্তম আয় বণ্টন দারিদ্র্য হ্রাসের গতি বাড়াবে। প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তির উন্নতি এবং সরকারি নীতি, প্রতিষ্ঠান, কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে, যা আয় বৈষম্য কমিয়ে আনতে সহায়তা করবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও