পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগে যোগ দিল বঙ্গবন্ধুর ছবি পোড়ানো মামলার প্রধান আসামি

নভেম্বর ২৮ ২০২০, ১৪:১০

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায়  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর ও পোড়ানো মামলার প্রধান আসামি  জাতীয় পার্টির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও তার লোকজন আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে।বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের খটশিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক বিশেষ কর্মীসভায় সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হক  সিদ্দিকুর রহমান সহ তার অনুসারীদের গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে আওয়ামী লীগে বরণ করে নেন।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়নাল আবেদিনকে পরাজিত করে হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান। নির্বাচনে জয়লাভের পর এলাকায় ব্যান্ড পার্টি নিয়ে বিজয় মিছিলের আয়োজন করেন।মিছিল চলাকালে সিংগারোল-দহগা এলাকায় নৌকা প্রতীক সম্বলিত তোরণ (গেট) ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছবিসহ ভাঙা গেটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়নাল আবেদিনের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

এ ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমানসহ ১০৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই জালাল উদ্দীন। মামলাটি তদন্ত করে সিদ্দিকুরসহ ১১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন থানার তৎকালীণ উপপরিদর্শক সোহেল রানা।চার্জশিট দাখিলের পর ২০১৬ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে সিদ্দিকুরকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় সিদ্দিকুরসহ তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সিদ্দিকুর বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সেখানে স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া মামলার প্রধান আসামি হয়েও সে আওয়ামী লীগে কিভাবে যোগদান করলো বা কোন স্বার্থে তাকে আওয়ামী লীগে যোগদান করানো হলো তা তারা বুঝে ওঠতে পারছেন না।

নেতাদের অভিযোগ, বিশেষ সুবিধা নিয়ে মামলা থেকে বাঁচাতেই সিদ্দিকুর আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে।এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মামলা থেকে বাঁচতে নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়েই দলে যোগদান করেছি। বঙ্গবন্ধু বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর বা পোড়ানোর ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক বলেন, কোনো বিশেষ সুবিধা নয়, কেউ আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে যোগদান করতেই পারে এতে দোষের কিছু নেই।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও