পুলিশকে মারার অভিযোগে যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক পুলিশ হেফাজতে

জানুয়ারি ১২ ২০২১, ২০:৫৬

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ পুলিশ সদস্যকে তুলে নিয়ে মারপিটের অভিযোগে যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মারপিট করে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের টিম ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের হেফাজতে নেয়া হয়। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছেন নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যশোর জেলা পুলিশ এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়নি।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে সকাল ৯টা থেকে কেশবপুরে সড়ক অবরোধ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

পুলিশ হেফাজতে থাকা নেতাকর্মীরা হলেন- যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু (৪৫), সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে ইসলামুল হক (২৫), শহরের কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে মো. মশিউর রহমান পিটু (৬৩), শহরের চুড়িপট্টি এলাকার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে শাহিনুজ্জামান (৪৮), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কামলাহাটি গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাত আটটার দিকে পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান সাদাপোশাকে পুরোনো কসবা এলাকার শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা-কর্মী সেখানে গিয়ে তাঁদের ওপর চড়াও হন। নিজের পরিচয় দিয়ে ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু এতেও তাঁরা নিবৃত্ত না হয়ে ইমরানকে শহীদ মিনার থেকে ধরে নিয়ে যান আবু নাসের ক্লাবে। সেখান থেকে রিকশার পাদানিতে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁঠালতলায়। সেখানে নিয়ে ইমরানকে বেদম প্রহার করা হয়।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য বলেন, ওই ঘটনার সময় সেখানে আসেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান। তিনি এ সময় পুলিশ কনস্টেবলকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দলবলসহ তাঁকে কাঁঠালতলায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরানকে মারধর করা হয় বলে শোনা যায়। এ খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ মিনার ও কাঁঠালতলায় ছুটে যান। এরপর যাঁরা ইমরানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরাই আবার তাঁকে শহীদ মিনার এলাকায় এনে রেখে যান।

তবে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় সাদাপোশাকে দুজন পুলিশ সদস্য দুই নারীকে নিয়ে ‘ঘনিষ্ঠ’ অবস্থায় বসে ছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের মারধর করে। হট্টগোল দেখে পাশের শেখ আবু নাসের ক্লাবে থাকা মাহমুদ হাসান গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাঁকে নিয়ে যায়। পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় মাহমুদ জড়িত নন বলেও তিনি জানান।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও