গৃহহীনদের মাথা গোজার ঠাঁই দিতে পারাই মুজিববর্ষের বড় উৎসবঃপ্রধানমন্ত্রী

জানুয়ারি ২৩ ২০২১, ১৪:৫৩

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬৬ হাজার ১৮৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৪৯২টি উপজেলার অসহায়-বঞ্চিত মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি বলেন, আমার জন্য আনন্দের দিন। যেসব মানুষের ঠিকানা ছিল না, ঘর ছিল না, তাদের মাথা গোজার ঠাঁই দিতে পারছি।‘এটাই মুজিববর্ষের সব থেকে বড় উৎসব। সবার মানসম্মত জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা শান্তি পাবে।’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আজই প্রথম প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

৪৯২টি উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপকার ভোগী এবং জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা এতে সংযুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী কর্মসূচির উদ্বোধনের পর নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা পক্ষে গৃহহীনদের হাতে জমি ও বাড়ির দলিল তুলে দেন।

এদিন শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের কথাই ভাবতেন। আমাদের পরিবারের লোকদের চেয়ে তিনি গরীব অসহায় মানুষদের নিয়ে বেশি ভাবতেন এবং কাজ করেছেন। এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম তারই শুরু করা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শ্রেণির পেশার মানুষের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সবাই যেন মানসম্মত ও সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। আর মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না বা গৃহহারা থাকবে না। যতটুকু পারি হয়ত আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তাই হয়ত এখন সীমিত আকারে করে দিচ্ছি, যাহোক একটা ঠিকানা আমি সমস্ত মানুষের জন্য করে দিবো। কারণ আমি বিশ্বাস করি, যখন এ মানুষগুলো ঘরে থাকবে আর আমার বাবা-মা তারা তো সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন দেশের মানুষের জন্য তাদের আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদ, যারা এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদের আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি আরো বলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই তো ছিল আমার বাবা বঙ্গবন্ধু ‍মুজিবের একমাত্র লক্ষ্য। আজকে আমি সবচেয়ে খুশি যে এত অল্প সময়ে এতগুলো পরিবারকে ঠিকানা দেওয়া হচ্ছে। এই শীতের মধ্যে সকলে ঘরে অন্তত থাকতে পারবে। আজকে যা দেওয়া হয়েছে এরপর খুব শিগগিরই আরো একলাখ ঘরের কাজ শুরু হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও