ঐতিহাসিক ৭মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষনই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চুড়ান্ত দিক নির্দেশনা

মার্চ ০৭ ২০২১, ১৭:৫৭

Spread the love

সম্পাদকীয়ঃ আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে আগামী দিনের  দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমেই তিনি নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে প্রতিরোধ যুদ্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করার আহ্বানের অধীর অপেক্ষায় ছিল বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। স্বাধীনতার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তা বিদ্যুৎ-গতিতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

সেদিন বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হন। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ময়দান ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। স্লোগান ছিল ময়দান জুড়ে, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। উপস্থিত জনতাকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদান রেখেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছিলেন। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধায় প্রস্তুত করেছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও