ইসলামের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে সুন্দরী নিয়ে বিনোদনে গেলেন রিসোর্টেঃ প্রধানমন্ত্রী

এপ্রিল ০৪ ২০২১, ২০:২০

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত কিছু বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়েন। এই বিনোদনের এত অর্থ কোত্থেকে আসে, এটা দেশবাসী বিচার করবে। আইন আইনের গতিতে চলবে।

রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের তৃতীয় ও সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রয়েল রিসোর্টের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মুফতিকে বেশি কিছু বলতে চাই না। গতকালকেই আপনারা দেখেছেন। এরা একদিকে ইসলামের নাম, ধর্মের নাম, পবিত্রতার নাম এত কিছু বলে যত অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়ে সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা রিসোর্টে ধরা পড়ে হেফাজতের জয়েন্ট সেক্রেটারি। সে ধরা পড়ল। এবং সেটা ঢাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা। পার্লারে কাজ করা এক মহিলা। এদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দেয়, আবার নিজের বউয়ের কাছে বলে যে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটি বলে ফেলেছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, এরকম মিথ্যা কথা, অসত্য কথা কি তারা বলতে পারে? তারা তো বলতে পারে না। তাইলে এরা কী ধর্ম পালন করে আর মানুষকে কী ধর্ম শেখাবে?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘হেফাজতের সদস্যদের অনুরোধ করব, যেন বুঝে নেন যে কোন নেতৃত্ব তাঁদের। জ্বালাও-পোড়াও করে তিনি বিনোদন করতে গেলেন একটি রিসোর্টে। একজন সুন্দরী মহিলা নিয়ে। এঁরা ইসলাম ধর্মের নামে কলঙ্ক। ইসলাম ধর্মকে তাঁরা ছোট করছেন। কিছু লোকের জন্য আজ এই ধর্ম জঙ্গির নাম, সন্ত্রাসের নাম।’

হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার পেছনে বিএনপির পরামর্শ ও সমর্থন ছিল বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে যে সংঘাত–সহিংসতা হয়েছে, তাতে হেফাজতে ইসলাম একা নয়, তাদের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপি রয়েছে। হেফাজতকে তাণ্ডব, জ্বালাও–পোড়াওয়ের পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।

হেফাজতের নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনোকিছু হলেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের অফিস ও বাসায় আগুন দেওয়া হয়। আগুন নিয়ে খেলছে তারা। এক ঘরে আগুন লাগলে তা অন্য ঘরেও চলে যেতে পারে। সেটা কী তাদের হিসাবে নেই? আজ রেলস্টেশন থেকে শুরু করে ভূমি অফিস, ডিসি অফিস— সব জায়গায় আগুন দিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মাদরাসা, তাদের বাড়িঘর সেগুলোতে যদি আগুন লাগে তখন তারা কী করবে? জনগণ কী বসে বসে এগুলো সহ্য করবে? তারা তো সহ্য করবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পুলিশ কেন ধৈর্য দেখিয়েছে, এ প্রশ্ন সংসদে এসেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি কারণ, এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য। সংঘাতে সংঘাত বাড়ে, আমরা তা চাইনি। সুবর্ণজয়ন্তী আমরা ভালোবাসার সঙ্গে উদযাপন করতে চেয়েছি। যারা করেছে (তাণ্ডব চালিয়েছে) দেশবাসী তাদের বিচার করবে। আইন তার আপন গতিতে চলবে।

তিনি বলেন, একজন মুসলমান হয়ে আরেক মুসলমানের জানমাল রক্ষা তাদের দায়িত্ব। কিন্তু হেফাজতের নামে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত তাদের মদদদাতা। সব মুসলমানের জন্য তারা লজ্জা এনে দিচ্ছে। পবিত্র ধর্মকে তারা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের কর্মকাণ্ডে বহু মানুষের জীবন গেছে। ২৬ মার্চও অনেক মানুষের জীবন গেছে। এজন্য দায়ী তারা। মুখে ধর্মের কথা বলবেন, কাজ করবেন অধর্মের, তা গ্রহণযোগ্য নয়। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করে। সেটাই করবে। যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কিছু লোকের জন্য ইসলাম ধর্মে বদনাম হবে, এটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও