নির্দোষ-মানুষ সাজা পেলে ভয়ানক হতাশাগ্রস্থ হয় এবং অপরাধীও হয়ঃ রাজিব

জুলাই ১২ ২০২১, ১২:০৯

Spread the love

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃআইন বিশ্লেষণ করে সমাজতত্ত্বের উপর দেখা যায় একজন মানুষ তার স্বাভাবিক জীবন থেকে বিনা কারণে সাজা খাটলে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। অপরাধ না-করেও অপরাধী হিসেবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে লঘু-দন্ড সহ যে কোন-প্রকার শাস্তি বা কারা ভোগ বা রিমান্ড-নির্যাতন হলে তার মনের উপরে হতাশাগ্রস্থ হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

নিরাপরাধ-মানুষের উপর যে কোন প্রকার-শাস্তি নির্যাতন,হলে মানসিক রোগ হবার কারণ দেখা দিতে পারে। হতাশা মানুষের জীবন প্রবাহে-দুর্ঘটনার চেয়েও বেশি ক্ষতিকারক। হতাশাগ্রস্থ-অধিক চিন্তার ফলে স্থবির হয়ে যেতে পারে। প্রথমত উদ্যমহীন করে ফলে পুরো সমাজটাকে এরা মানুষের,পৃথিবীর, ভালো কোন দিক সহ্য করতে পারে না। কেবল সমস্ত মানুষের মধ্যে ও জিনিসের মধ্যে দোষ ও খুত, খুঁজে-বেড়ায়। তুচ্ছ বা স্বাভাবিক কিছু ব্যবহারেই ক্ষিপ্ত হয়ে যেতে পারে। জীবন পৃথিবী ও সমস্ত প্রাণীকুল-সম্পর্কে প্রকাশ্যে-গুপ্তভাবে, খারাপ ধারণা পোষণ করে চলে মনে। সব রকম জনকল্যাণকামী মনের মৃত্যু-ঘটে নষ্ট হয়ে যায় তার মন। জীবনকে উচ্চতার প্রচণ্ড আবেগে নিমজ্জিত করে আদর্শচ্যুত হয়ে যেতে পারে।

অসমজিকতা তো-বটেই। এমনকি নিজ মনের ভেতরে উদ্ভট ও অনিশ্চিত আপোষ প্রসনে বিপথগামী হয়। আবার অপরাধের-পরিবেশ পেলে সহজেই-অপরাধ ঘটাতে দ্বিধাবোধ করে না। ভালো ধার্মিক লোকো ও অধার্মিক এমনকি নাস্তিক-পর্যন্ত হয়ে পড়তে পারে। একই সাথে রগ-চট্টা বদরাগী খুঁত-খুঁতে, স্বভাবের হয়ে যেতে পারে সহজে। সাধারণ জিনিস কে বাধা-করে দেখতে শুরু করে। অনিদ্রা-দুশ্চিন্তা সহ বিভিন্ন অকারণ চিন্তায় ভুগতে পারে। এমনকি পাগল ও হতে পারে। যা, ডাক্তারি পরিভাষায় দাহ-প্রদাহ-অগ্নি-মন্দা ও যকৃতের-রোগ সহ আরো বিভিন্ন রোগের শিকার হতে পারে। পাকস্থলীর হজম শক্তি ক্ষমতা কমতে শুরু করে। অতি সামান্যতেই রোগান্ত হয়। সাধারণ ব্যাপারে তর্ক-যুদ্ধ সহ আত্ম অভিমানী হয়ে আত্মহত্যা ও করে বসতে পারে।

পূর্বের ন্যায় সংসার-জীবন ও কর্ম জীবনের অশান্তিতে ভোগেন। সংসার-জীবন অশান্তির সৃষ্টি করা স্বভাবে পরিণত হয়। হঠাৎ-আচরণ বদলে অতি সহজে সাজ সজ্জার প্রতি ও চরম নেশাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। এমনকি ভূতত্ত্ব, প্রেম তত্তও জ্যোতিষ শাস্ত্রে-অতিভক্তি ও বিশ্বাসী হয়ে পড়ে। ব্যক্তিত্বহীন হয়ে চেহারার আকর্ষণ হারাতে পারে। এমনকি পেটের আলসার, আমাশয়, রোগ-শোকে ভুগতে পারে। এছাড়াও বহুপ্রকার পতন-মুখি হতাশাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। সবমিলিয়ে নিরপরাধ মানুষের মিথ্যা-যুক্তি, তথ্য-প্রমাণাদি সঠিক অনুসন্ধানের-অভাবে ভুলক্রমে সাজা হয়ে গেলে হতাশায় ভোগে বাকি জীবনটাই অধঃপতনে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এরা পারি-পার্শ্বিক মানুষের চরম-ক্ষতি সহ খুন, গুম,এর মত অপরাধবোধ সহজেই করে ফেলতে পারে। নিজের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে। অপরিসীম-ধৈর্যের অভাবে নিজ কর্ম কৌশল আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়।

নিজের পতন ডেকে আনে, পূর্বে কি-হলো কি ঘটেছে-সব ভুলে যদি সাজাপ্রাপ্ত মানুষের জীবনে চারটি উপদেশ মেনে চলতে পারে। তাহলে ডাক্তারের পরিভাষায়, স্বাভাবিক-জীবন ফিরে পেতে পারে। অধ্যবসায় কে যদি করতে পারে-অন্তরঙ্গ সোহার্দ্যপুণ্য। আর অভিজ্ঞতাকে যদি করে নিতে পারে তারই মন্ত্র দাতা। আর সর্ব সর্তকতা কে যদি অগ্রজ করে নিতে পারে জীবনে। এবং তার নিজ আশাকে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে আঁকড়ে ধরে, জীবনের সব কষ্ট ভুলে গিয়ে আঁকড়ে ধরতে পারে জীবন। তাহলে হতাশা ও ব্যর্থতা ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারেনা। সর্বশেষে একটি কথাই বলবো-নিরপরাধ নির্দোষী-সাধারণ মানুষকে জোর-জবরদস্তি হামলা-হামলা করে হাজারটা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা খাটালে একজন সাধারন মানুষের জীবনটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের-প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একাধিক নির্দোষ, মানুষের সাজার ঘটনা ঘটা নতুন কোন ইতিহাস নয়। আইনের অবস্থা,,টাকা যার আইন তার। এই কথাটা-মিথ্যা-প্রমান হওয়া রাষ্ট্রের জন্য বিশেষ প্রয়োজন ও বটে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও