তবে সেখানে কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলে কেজি দরে বিক্রি করে দেয়া হবে প্লেনগুলো।

জুলাই ১২ ২০২১, ২২:৩৮

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ এই মূহুর্তে বিমান পড়ে আছে  ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮ টি, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ২ টি, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও এভিয়েনা এয়ারলাইন্সের ১টি করে প্লেন পড়ে আছে।

কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন যাবত বিমানবন্দরের এই ১২টি প্লেনের পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ সহ ৮০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর।

 বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর থেকে তাদের উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তারা নিজেদের বিমান সরায়নি বা জবাবও দেয়নি।””তাদের কাছে পাওনা অর্থও তারা পরিশোধ করেনি বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও। যে কারণে এখন বাধ্য হয়েই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে আমাদের।”

এখন সিভিল এভিয়েশন আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত বিমানগুলো বাজেয়াপ্ত করে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিলাম আয়োজন করা হবে।

কেবল বকেয়া আদায় নয়, বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে।

১০টি বিমান গত আট বছর ধরে কার্গো-ভিলেজের জায়গা দখল করে আছে।তিনি বলেছেন, “এই বিমানগুলোর রেজিস্ট্রেশন আগেই বাতিল করেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর থেকে তাদের উড়োজাহাজ সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশও দেয়া হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু তারা নিজেদের বিমান সরায়নি বা জবাবও দেয়নি।”

“তাদের কাছে পাওনা অর্থও তারা পরিশোধ করেনি বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও। যে কারণে এখন বাধ্য হয়েই ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে আমাদের।”

এর মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ বকেয়া জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে। এই প্রতিষ্ঠানের কাছে ৩৬০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের।

২০১২ সালে জিএমজি এয়ারলাইন্স তাদের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করে। এরপর আর কখনো ওড়েনি এই সংস্থার বিমান।রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছ থেকে বকেয়ার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা।

২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় রিজেন্ট, কিন্তু তার আগেই বেশ কয়েকটি রুটে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল সংস্থাটি।

এর বাইরে পার্কিং চার্জ ও সারচার্জ বাবদ কর্তৃপক্ষের কাছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা।

দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বিমান কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বন্ধ রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

এখন এই বকেয়া টাকা আদায়ের জন্যে কর্তৃপক্ষ বিমান নিলামে তুলেছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম তৌহিদুল আহসান বলেছেন, ইতোমধ্যে নিলামের প্রক্রিয়া নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নিলামের কর্মপদ্ধতি ও সুপারিশমালাও চূড়ান্ত হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও