মহাসড়কের ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দলীয় পরিচয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি

জুন ০৪ ২০২২, ১৫:৩৯

Spread the love

নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জঃ মহাসড়কে ফুটপাত বসিয়ে দলীয় পরিচয় দিয়েই ব্যাপক চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে।ভুলতা ফাঁড়ির সামনেই হাইওয়ে পুলিশের নিরবতায় মহাসড়কের উপর ফুটপাতের দোকান থেকে প্রতিদিন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম করে তুলে নিচ্ছে এ চাঁদার টাকা।

অভিযোগ উঠছে হকাররা নেতাদের টাকা দিয়ে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের দু’পাশের অধিকাংশ লেন দখলে নিয়ে প্রতিদিন ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ সড়কে সারাদিন থাকে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। পথচারীরা অভিযোগ করেন বলেন জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে তাদের। রাস্তার উপর মাত্রা অতিরিক্ত ফুটপাত বসায় কারনে সারাদিনই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। যানজটের ভুগান্তিতে পড়ে পথচারীসহ পরিবহন যাত্রীরা। এ এলাকার রাস্তায় তাকালে মনে হয় মহাসড়ক না এটা যেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায় সড়কের উভয় পাশে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা সহস্রাধিক কাপড়ের ও কাঁচাবাজারের দোকান বসিয়েছে। এঋাড়াও বসেছে হাজার খানেক ভ্যানগাড়ি।ভ্যান গাড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এমন কি এখানে হকাররা ফুটপাতের উপরই ছাতা টানিয়ে ব্যবসা চালিয়ে গেলেও হাইওয়ে পুলিশের চোখে পড়ে না।ভুলতা এলাকায় ফাড়িঁ পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ থাকার পরও ফুটপাত কেন তুলতে পারে না?

অভিযোগ উঠছে ফাঁড়ির কনস্টাবেল রুবেল ও আল- আমিন ফাঁড়ির পুলিশের নামে প্রতিদিনই চাঁদা তুলে নিচ্ছে। যে কারনে হকাররা মহাসড়ক দখল ছাড়তে নারাজ। ফুটপাতে কাপড়ের বাজার থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা তুলে নিচ্ছে আল-আমিনের নির্দেশে কাউসার ও রানা।

ফুটপাত উচ্ছেদ নিয়ে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন ফুটপাতমুক্ত করার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের, আমাদের নয়। তার পরও আমাদের সামনে ফুটপাতে কাঁচাবাজার থাকায় আমরা ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের ভিআইপি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তার পরও ৯৯৯ নাম্বারে কল আসলে সেখানে যেতে হয়। পরিস্কিকারের কিছু সময়ের মধ্যেই হকারেরা আবার দখল করে ফেলে। ব্যাপারটা আসলেই চোর পুলিশের খেলার মতো হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ হাইওয়ে পুলিশকে দিনে দুই একবার দেখা যায়, পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে হকাররা মহাসড়ক দখল করে নেয়।সচেতনমহল বলেন কাঁচাবাজার বসিয়ে লাভবান হচ্ছে ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ আর সরকার দলীয় কিছু নেতারা।

সূত্র জানায় হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে চাঁদাবাজরা।২ জুন বুধবার ফাঁড়ির ঠিক সামনে মহাসড়কের কাপড়ের হাট ও তাঁতবাজারের সামনের মহাসড়কের উপর কাপড় ও কাঁচাবাজারে ছাতি টানিয়ে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা করতে দেখা যায়।

সব মিলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন সচেতনমহল । নানা সমস্যায় জর্জরিত এলাকাটি যেন দেখার কেউ নেই, ফাঁড়ি পুলিশের নিস্কৃয়তায় পুলিশ বাহিনীর সুনাম ও অর্জন নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল। উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি একান্তভাবে কামনা করেন এলাকার সচেতনমহল।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও