ঢাবির ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা

অক্টোবর ২৫ ২০১৮, ০৯:৫৩

Spread the love

 ছিনতাইয়ের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। তিনি বলেন, ছিনতাই মামলার প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার রাত ১০ টার দিকে শাহবাগ থানা পুলিশ তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন।

মামলার আসামীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ছাত্র এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নাফিউর রহমান এবং একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র কামরুল হাসান, দর্শন বিভাগের মিনহারুল বাশার আবির। পলাতক রয়েছে দর্শন বিভাগের ছাত্র এবং বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জর্জ। অভিযুক্তরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
মামলার এজাহারে ঠিকাদার এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশননের ৪৯ নং ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, আমি বায়তুল মোকাররম থেকে মগবাজারে অবস্থিত হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে যাওয়ার পথে রমনা কালী মন্দিরের সামনে অভিয্ক্তুরা আমার পথ অবরোধ করে দাঁড়ায়। তারা আমার থেকে ১৭ হাজার টাকা এবং স্যামসাং জে-২ মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্তরা নানারকমের ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমাকে মারধর করে এবং গুম করার হুমকি দিয়ে রিক্সায় তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি’র সামনে আমি চিৎকার করি। পরে পুলিশ এসে আমাকে সাহায্য করে। সেখান থেকে পুলিশ তাদের তিনজনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। জর্জসহ অজ্ঞাতরা পালিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট হল কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

জানা যায়, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের কার‌্যনির্বাহী সদস্য জর্জ হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউনুছের অনুসারী। জানতে চাইলে আবু ইউনুছ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আগে সে আমার রাজনীতি করত। এখন কি করে জানিনা। অন্যদিকে, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মিনহারু বাশার আবির হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রিফাত উদ্দিনের অনুসারী। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সে আমার রাজনীতি করে। অনেক আগে হলের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার তাকে আমার গ্রুপে দেয়। তবে তার অপরাধের দায়ভার আমি নিতে পারব না। তাকে সাজা দেয়া হোক। এছাড়া, হলের কার‌্যনির্বাহী সদস্য নাফিউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ারের সমর্থক। এবং একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র কামরুল হাসান মিয়া সোহাগের সমর্থক। আনোয়ার ও সোহাগ উভয় হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।
অভিযোগের বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, কোন অপরাধীর ছাত্রলীগে ঠাই নাই। এসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।উৎস-বিডি ট্রিবিউন

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও