বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবেঃ মির্জা ফখরুল

এপ্রিল ১১ ২০২১, ১১:০৬

Spread the love

আগমনী ডেস্ক: সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ইতিহাসে সত্য না বলা অপরাধ। আওয়ামী লীগ তাদের তৈরি করা ইতিহাস প্রতিষ্ঠায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। যারা দীর্ঘকাল ধরে স্বাধিকার-স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন তাদের কারও নাম উচ্চারণ হয় না। এমনকি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, জিয়াউর রহমানের নামও উচ্চারিত হয় না।

শনিবার জেএসডি আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক প্রবাসী সরকারের ভূমিকা ও প্রস্তাবিত প্রজাতন্ত্র দিবস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তি বা দলের নয়। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল পুরো জাতির আত্মবিকাশের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তিরোহিত করে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্রীয় রাজনীতির আমূল সংস্কার করে অংশীদারিত্ব ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুনির্দিষ্ট দার্শনিক ভিত্তি। সভায় আ স ম রব মুক্তিযুদ্ধের উজ্জ্বল কীর্তির স্মারক হিসাবে ১০ বা ১৭ এপ্রিলকে প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানান।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৫০ বছরে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মহান ভাবাদর্শকে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সব স্বপ্নকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, দেশ চরম সংকটে। সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তিদের উপেক্ষা করে তথাকথিত সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজন করেছে। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও