বাংলাদেশের ‘কোয়াড’ এ যোগ দেয়া চীনের সাথে সম্পর্ক খারাপ করবেঃ চীনের রাষ্ট্রদূত
আগমনী ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে জোট ‘কোয়াড’ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ চীন ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যথেষ্ট খারাপ করবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময়ের সময় ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ঐ মন্তব্য করেন।
কোয়াডে অংশগ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ ধরনের ছোট গোষ্ঠী বা ক্লাবে যুক্ত হওয়াটা ভালো না। বাংলাদেশ এতে যুক্ত হলে তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ করবে।”
এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি ঢাকা সফর করেন।
সেই সফরে কোয়াড নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এই উত্তর দেন।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে নৌ চলাচল ‘অবাধ ও স্বাধীন’ রাখার উপায় খোঁজার যুক্তি দেখিয়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে ‘কোয়াড’ নামে একটা সংলাপ শুরু হয়েছিল।
তবে ২০২০ সালের জাপানের টোকিওতে এই জোটের দু’দিনের বৈঠক হলে-এই জোট নতুন করে আলোচনায় আসে।
এবং চীন তার অবস্থান স্পষ্ট করে। সেই সময় টোকিওতে কোয়াডের এই বৈঠক চলার সময় একই সাথে তিন থেকে চারটি নৌ এবং বিমান মহড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বেইজিং।
তবে চীনকে আটকাতেই যে এই জোটবদ্ধ উদ্যোগ, পরিষ্কার করে তা পূর্বে কখনই বলা হয়নি।
এমনকি এসব বৈঠক নিয়ে এই চারটি দেশের সরকারগুলোর পক্ষ থেকে জনসমক্ষে যেসব ঘোষণা দেয়া হয়েছে বা যেসব নথিপত্র চালাচালি হয়েছে, তার কোথাও চীন শব্দটিই নেই।
এদিকে এই জোট যে চীন বিরোধী জোট হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে সেটা চীনের রাষ্ট্রদূতের আজকের বক্তব্য আরো স্পষ্ট হয়েছে।
অনেক পর্যবেক্ষক বলেন, ইউরোপের সামরিক জোট নেটো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আগ্রহ কমলেও, মূলত চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব-প্রতিপত্তির জবাব দিতে এশিয়ায় নেটো ধাঁচের একটি জোট গঠনে আমেরিকা আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ক্ষমতায় ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে কোণঠাসা করতে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিত্রদের নিয়ে একটি সামরিক জোট গড়তে আগ্রহী হয়ে পরেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ঐ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দেবে।
টিকার এই চালান আগামী বুধবার ঢাকায় আসবে। গত ৮ই মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।