বুধবার (১৯ মে) সকালে ঠাকুরগাঁও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নিজেরাই পলিসি উদ্ধার করে, তারাই দেশটাকে এভাবে চরম অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে দেশ চালাতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে এরকম আচরণ করছে সরকার। এটা আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, একজন নারী সাংবাদিককে মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা কিভাবে নাজেহাল করে। তাদের বদলি করা কোন সমাধান নয়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কারাগারে নেওয়া উচিত ছিল। এটা করলে তাও সাংবাদিকগণ একটু স্বস্থি পেত। এটার কারণ হলো সাংবাদিকগণ যাতে করে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে না পারে তার জন্য তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

যিনি ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি সত্যটা বের করে জনগণের সামনে এনেছিলেন। বিশেষ করে করোনা সংক্রান্ত সরকারের যে দুর্নীতি, অধিদপ্তরের যে দুর্নীতি এগুলোকে তিনি জনসম্মুখে নিয়ে এসেছিলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সেটি ন্যাক্কারজনক। এটার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। ৫ ঘন্টা আটক করে তাকে পুলিশে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর জন্য সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সসম্মানে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি একইসাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি এ্যাড. আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এনতাজুল হক, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানান।